ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা কী?
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়াকে ফ্যাটি লিভার ডিজিস বলে। অতিরিক্ত মদ্যপান, ডায়াবেটিস, বেশি ওজন, রক্তে চর্বি, কোলেস্টেরল ইত্যাদি ফ্যাটি লিভারের কারণ। জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করে এ সমস্যার অনেকটাই সমাধান করা যায়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৮৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারুক আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ফ্যাটি লিভার হলে কী ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : ফ্যাটি লিভার চিকিৎসা করলে ভালো হয়। ফ্যাটি লিভার হওয়ার পর আমরা লিভারের কার্যক্রমগুলো দেখি। পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস, রক্তের চর্বির পরিমাণ বা অন্যান্য কোলেস্টেরলের পরিমাণ দেখি। এ ছাড়া আরো কিছু পরীক্ষা রয়েছে—থাইরয়েডের কার্যক্রম এবং লিভারের কিছু পরীক্ষা, এগুলো করা হয়।
এরপর আমরা দেখার চেষ্টা করি এ সমস্যার কারণে লিভার কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি তার লিভারের এনজাইমগুলো বেড়ে যায়, তখন বুঝতে হবে, তার ক্ষেত্রে এই ফ্যাটি লিভারের কারণে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হওয়া আশঙ্কা রয়েছে। তখন তার ক্ষেত্রে জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করতে হবে এবং কিছু ওষুধ খেতে হবে। এখন পর্যন্ত যেই ওষুধগুলো ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়, সেগুলো খুব বেশি কার্যকর বলে প্রমাণিত নয়। মূলত জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করতে হবে, ওজন কমাতে হবে। এর মাধ্যমে চিকিৎসা হয়।
আর যদি শুধু ফ্যাটি লিভার থাকে, পাশাপাশি লিভারের অন্যান্য কার্যক্রম যদি ভালো থাকে, যদি খুব বেশি স্থূলকায় না হোন, তাহলে শুধু একটু জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করলে হয়। সুষম খাবার, কায়িক পরিশ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম—এগুলো করলে তিনি ভালো থাকবেন। এর চেয়ে বেশি সতর্কতার প্রয়োজন নেই।