চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা নেই
অনেকে জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন। তবে চিকুনগুনিয়ার বেলায় অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এম এ সাত্তার সরকার। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চিকুনগুনিয়ার প্রতিকার কী?
উত্তর : আমরা অনেক সময় দেখি, রোগীরা সাধারণত জ্বরের জন্য নিজে নিজে ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে নেন। খুব শক্তভাবে বলছি, এই জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। এটি একটি বিষয়। অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা এখানে নেই। দুই নম্বর হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার খেতে হবে। যেমন : ওরস্যালাইন, লেবু লবণ দিয়ে শরবত করে খেতে পারে, ক্ষেত্রবিশেষে ডাবের পানি খেতে বলি। এই জ্বরে বিশ্রামে থাকবে। শুধুমাত্র প্যারাসিটামলই আমরা মুখে খাওয়াব অথবা সাপোজিটরি দেওয়া যাবে। ডাইকোফেনাইল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করবেন না। এতে পরে ক্ষতি হতে পারে।
প্রশ্ন : তীব্র ব্যথাকে কীভাবে প্রশমন করেন?
উত্তর : দেখা যায় তিন সপ্তাহ বা চার সপ্তাহ পরও ব্যথা থাকছে। আট সপ্তাহ পর বা দুই মাস পরও থাকছে। তিন মাস পেরিয়ে গেলে আমরা বলি ক্রনিক ডিজিজ। একে বলা হয় চিকুনগুনিয়া রিউমাটিজম বা রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিসের মতো লক্ষণ নিয়ে আসে। তখন আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেব। সেই ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের সঙ্গে ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড দিই। কারো কারো ক্ষেত্রে ডিজিজ মোডিফাইং ওষুধ ব্যবহার করা লাগতে পারে।