‘চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস দরকার’
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সর্ব পর্যায়ে সচেতন হওয়া জরুরি। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এম এ সাত্তার সরকার। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কোন বিষয় মাথায় রাখা উচিত?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সবাই মিলে এডিস মশার সঙ্গে লড়াই করছি। সিটি করপোরেশন রয়েছে, ডিজি হেলথ রয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সমাজের সবাই লড়াই করে মশাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ আনতে পারিনি। আমি এই বিষয়ে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, যাঁরা সিটি করপোরেশনে রয়েছেন, তাঁদের কিন্তু বিশাল ভূমিকা এখানে। মশক নিধন জনগণ একা করতে পারবে না। এর জন্য সমন্বিত একটি প্রয়াস দরকার।
ব্যক্তি পর্যায় তো কিছু কাজ রয়েছে। নিজে নিরাপদ থাকুন। মশারি টাঙ্গান, মশা যেন বাড়িতে জন্মাতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করুন। সবাই মিলে মশক নিধন কর্মসূচিকে যেন বেগবান করতে পারি, সেটি খেয়াল করতে হবে। মশা যেন না কামড়ায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আরেকটি হলো যেই রোগীর চিকুনগুনিয়া হয়েছে তিনি নিজে সতর্ক হয়ে মশারির নিচে থাকবেন, যেন তাঁকে মশা কামড় দিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের না কামড়াতে পারে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : আমরা কিন্তু জানছি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়। এরপরও কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে- কেন এটি হচ্ছে?
উত্তর : একটি মশার কথা বলি, রোগীদের যখন বলি, ‘মশারি টাঙ্গান?’ তখন তাঁরা বলেন, ‘আমাদের বাসায় তো মশা নেই।’ সব রোগী একই উত্তর দিচ্ছে। আসলে মশা কামড়ানোর কারণেই কিন্তু এই অসুখ হচ্ছে। আমি মনে করি, আমরা ব্যক্তিপর্যায়ে এবং সামগ্রিকভাবে এখনো এতটা সতর্ক হইনি। আমরা জানি কিন্তু জিনিসটি মানি না। মানতে হবে। আমরা যদি একটু সিরিয়াস হই, তাহলে পরিবারের সদস্য, সমাজের সদস্য, দেশের সদস্য এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারে।