পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসা কেন জরুরি?
অনেকে পিত্তথলির পাথরের সমস্যাকে অবহেলা করেন। সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে রোগ জটিল হয়ে পড়তে পারে।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯৩তম পর্বে কথা বলেছেন জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সরদার এম নাঈম।
প্রশ্ন : একজন রোগী যখন কষ্ট পায়, তখনই সাধারণত তারা চিকিৎসকের কাছে আসে। এটি একটি উপায়। অথবা অন্য কোনো রোগের কারণে গেলেন, যাওয়ার পর আলট্রাসনোগ্রাম করা হলো, এরপর দেখা গেল যে পাথর আছে। এ দুই ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : একে আমরা ইনসিডেনটাল ফাইন্ডিং বলি। গলব্লাডারের পাথর যদি আমরা পাই, রোগীর যদি একেবারেই কোনো অভিযোগ না থাকে, রোগী যদি না চায়, অস্ত্রোপচার না করতে পারে। তবে আমাদের দেশে অবস্থা অনুযায়ী আমি মনে করি, গলব্লাডারের পাথর পেলে তার চিকিৎসা করে ফেলা ভালো। এর কারণ কী? একটি কারণ হলো ব্যথা কখন হবে কেউ জানে না। যেকোনো সময়ে সংক্রমণ হয়ে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা হওয়ার পরে একে অস্ত্রোপচার করে ফেলা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, কার্ডিয়াক সমস্যা রয়েছে, ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা সুস্থ থাকলে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া যত সহজ হয়, জটিল সংক্রমণ নিয়ে আসলে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া তত সহজ হয় না।
গলব্লাডারের ক্যানসারও আমরা দেখতে পাই। গলব্লাডারের ক্যানসারের কারণ আমরা বলতে পারব না। তবে যাদের আমরা ক্যানসার দেখি, তাদের অধিকাংশের পাথর সঙ্গে পাই। এই গলব্লাডারের পাথর থাকতে থাকতে হয়তো বা ক্যানসার হয়েছে। যদিও এর কারণ আমরা ১০০ ভাগ বলতে পারব না, তবে ধারণা করা হচ্ছে।
মানুষের মানসিকতা একটি বড় বিষয়। রোগী যখন জানবে তার পেটের মধ্যে পাথর আছে, মানসিকভাবে সে এর জন্য ভুগতে থাকবে। সে জন্য অস্ত্রোপচার করে ফেলাই ভালো।
বাংলাদেশের অবস্থা অনুযায়ী বলি, গ্রামগঞ্জ থেকে রোগীদের ঢাকায় এসে চিকিৎসা করা কষ্টসাধ্য। স্বাভাবিক সময়ে এসে পরিকল্পনা করে যাওয়া আর ব্যথা নিয়ে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে দৌড়ে আসা কঠিন। তখন বেশ জটিল অবস্থা হয়। এত ব্যথা হয় যে রোগীকে অনেক সময় ভালো সেন্টারে নেওয়ার সময়ও থাকে না।