হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয়
হৃদরোগ একজন ব্যক্তিকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮০৪তম পর্বে কথা বলেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও ইউনিটপ্রধান অধ্যাপক এম এ বাকী।
প্রশ্ন : প্রতিরোধের বিষয়টিতে কীভাবে গুরুত্ব দিতে হবে?
উত্তর : আমাদের নগরায়ণের কারণে গ্রাম থেকে ধীরে ধীরে শহরমুখী হচ্ছি, আমাদের আর্থিক উন্নতি হচ্ছে। তবে আর্থিক উন্নতির কিছু নেতিবাচক দিক, যেগুলো পড়ে, সেগুলো পড়তে শুরু করেছে। আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের খেলাধুলার মাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে সন্তান রয়েছে, তার মাঠে যে বিনোদন সেটি আমরা দিতে পারছি না। আপনি একঘেয়েমি কাটানোর জন্য সন্ধ্যার পর বলছেন, ‘চলো আমরা চায়নিজ খেয়ে আসি’, অথবা ‘ফাস্টফুড খেয়ে আসি’। আমাদের একমাত্র বিনোদন এখন গিয়ে পৌঁছেছে খাবারের ওপরে। সুতরাং ছোটবেলা থেকেই এই বাচ্চাগুলোর খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যে খাবারগুলো আমাদের রক্তনালির জন্য, হার্টের জন্য ভালো নয়, তৈলাক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার, সেগুলো কিন্তু বেশি খাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হলো তার কিন্তু কায়িক পরিশ্রম কমে যাচ্ছে। এ দুটো বিষয় মিলিয়ে আমার মনে হয়, এখন তরুণরা করনারি ডিজিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সামাজিক সমাধানে প্রশ্ন আছে। আমাদের পরিবারের সচেতনতার প্রশ্ন আছে। এগুলো প্রতিরোধ করতে হবে, এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
একজন লোকের হার্ট অ্যাটাক হওয়া মানে কর্মক্ষমতা অনেকখানি কমে যাওয়া। হার্টের রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। ব্যক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যগতভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সমাজ বা রাষ্ট্রে তার যে অবদান, সেটি কমে যাচ্ছে। তাই প্রতিরোধের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।