পুরুষের বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় করণীয়
পুরুষের বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা বিভিন্নভাবে করা হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮২৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজাউল করিম কাজল। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চেষ্টা করার পরও যদি না হয়, আপনাদের কাছে গেলে আপনারা কী বলেন?
উত্তর : প্রথমেই আমরা কারণ খুঁজে বের করতে চাই। সেই পুরুষটির ইতিহাস নেই আমরা। তার খাদ্যাভ্যাস চলাফেরা, তার কাজকর্ম- এসবের ইতিহাস এবং কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চাই, সমস্যাটি আসলে কোথায় রয়েছে। যদি দেখা যায় তার চালচলন, আচারগত বিষয় পরিবর্তন করলে ঠিক হয়ে যাবে, তাহলে আমরা কোনো ওষুধ না দিয়ে শুধু এগুলোতেই খেয়াল রাখতে বলি। আর যদি সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়, যেমন, হরমোনজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, তাহলে আমরা সেই রোগগুলোর চিকিৎসা দিয়ে দেখি যে এবার তার রিপোর্টটি ভালো আসছে।
প্রশ্ন : তারপরও ওই অবস্থায় কতদিন চেষ্টা করতে বলেন?
উত্তর : এই অবস্থায় আমরা প্রায় বছর খানেক চেষ্টা করতে বলি। তখন কিন্তু আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। চিকিৎসা দেওয়ার সময়টা হলো প্রায় বছর খানেক। এরপর যখন কোনো দম্পতি সন্তান লাভে ব্যর্থ হচ্ছে,তখন আমরা বলি যে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। স্ত্রীর গর্ভের যখন আমরা দেখতে পাই আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের মধ্যে সেখানে সন্তানধারণের জন্য একটি সঠিক মাপের ডিম তৈরি হয়েছে, তখন স্বামীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান শুক্রাণুগুলোকে ফিল্টার করে, সেগুলোকে সিরিঞ্জের মতো একটি যন্ত্র নিয়ে সরাসরি আমরা স্ত্রীর জরায়ুতে প্রবেশ করাই। এটি হলো একটু উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা। একে আইইউআই বলে। ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন বলে। এতেও যদি দুই তিনবার চিকিৎসা ব্যর্থ হয়,তখন এর পরবর্তী ধাপের নাম টেস্ট টিউব বেবি। একে আইভিএফ নামে অনেকেই চেনেন। সেই পদ্ধতির তখন হয়তো সহায়তা নেওয়া লাগবে।