হঠাৎ কিডনি বিকলের ক্ষেত্রে করণীয় কী?
হঠাৎ কিডনি বিকলের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। হঠাৎ কিডনি বিকলে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮২৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. হারুন অর রশিদ। বর্তমানে তিনি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একজন রোগী হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে আপনাদের কাছে গেল। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী ?
উত্তর : যদি ওষুধের কারণে কিডনি বিকল হয়, দেখা যায়, প্রস্রাব কমে গেছে। তখন আমরা সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের বলি, আপনার ওষুধটা বন্ধ করে দিতে হবে। এখন এই ওষুধ বন্ধ করে দিয়ে অন্যান্য যে ওষুধ খাচ্ছে, সেগুলো পারতপক্ষে কমিয়ে ফেলি। এমনকি পেপটিক আলসারের ওষুধ খেলেও আমরা সেটা বন্ধ করে দিই। কারণ, পেপটিক আলসারের ওষুধের কারণেও কিন্তু কিডনি হঠাৎ করে বিকল হয়ে যেতে পারে, গ্যাসট্রিকের ওষুধ যেগুলো খাচ্ছে, সেগুলোতেও সমস্যা হতে পারে।
যদি উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খায়, আমরা যেটা বলি এসি ইনহিবিটর এ আর বি, সেটাও বন্ধ করে ফেলি। কারণ, এর কারণেও হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে। একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর তো আমি পুরোপুরি ওষুধ বন্ধ করতে পারব না। তখন অন্য গ্রুপে ঢুকে যাব। বেশিরভাগ ওষুধ বন্ধ করে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, সেটিই আমরা তাকে দিই। তাদের ২৪ ঘণ্টায় প্রস্রাব কেমন হচ্ছে, সেটি দেখি। আর এর সঙ্গে যদি দেখি শরীর ফুলে গেছে, সেখানে তরল তত বেশি দিতে পারি না। তবে এর সঙ্গে যদি ডায়রিয়া থাকে, বমি থাকে, তখন তাকে স্যালাইন দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা বলে, সব ওষুধই তো বন্ধ করে দিলেন, কিডনি ভালো হবে কীভাবে? তখন আমরা বলি, হঠাৎ কিডনি বিকলের ভালো চিকিৎসা হলো সব ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া।
এ ক্ষেত্রে অনেক রোগী হয়তো মনে করে, তেমন কোনো চিকিৎসা পাচ্ছি না। তবে পরে যখন তার সম্পূর্ণ কিডনি সুস্থ হয়ে যায়, সে কিন্তু সন্তুষ্ট হয়।