প্রোস্টেটে সমস্যা হলে চিকিৎসা কী?
পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে সাধারণত দুই ধরনের সমস্যা হয়—ক্যানসার ও বিনাইন টিউমার। এর চিকিৎসা কী? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯৭তম পর্বে কথা বলেছেন ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ও অ্যাডভান্সড সেন্টার অব কিডনির অধ্যাপক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ।
প্রশ্ন : ক্যানসার না হলে অস্ত্রোপচারের ধরনটা কেমন করে থাকেন। হলে কী করে থাকেন?
উত্তর : আসলে আমরা আগেই তো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে এটা ক্যানসার কি ক্যানসার নয়। ডাক্তার যদি সন্দেহ করেন, ক্যানসার হতে পারে, তাহলে টু কাট বায়োপসি করা হয়। প্রোস্টেটের বায়োপসি মলদ্বার দিয়ে নেওয়া হয়। নিয়ে আমরা পরীক্ষা করি। মলদ্বার দিয়ে এক ধরনের আলট্রাসনোগ্রামও করা যায়। ট্রান্সরেক্টাল আলট্রাসনোগ্রাম, সেটি করে আমরা একটু ধারণা নিতে থাকি। এর পর প্রোস্টেটের বায়োপসি মলদ্বার দিয়ে করে যদি আমরা পজিটিভ পাই, তাহলে এক ধরনের চিকিৎসা শুরু করি। ক্যানসার হলে সিটি স্ক্যান করে দেখি, ক্যানসারটা কোন পর্যায়ে রয়েছে। যদি প্রোস্টেটের ভেতরে কেবল থাকে আর বয়স যদি দেখা যায় ষাট বা পঁয়ষট্টির মধ্যে রয়েছে, তাহলে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তখন আমরা বলি, রেডিক্যাল সার্জারি। সেটাকে ল্যাপারেস্কোপি করতে প্রোস্টেট সম্পূর্ণটা নিয়ে চলে আসা হয়। এটি হলো প্রোসথেটিক সার্জারি। এতে আর কোনো ক্যানসারের জীবাণু সেখানে থাকতে পারে না।
তবে বেশির ভাগ লোকের যেটি হয়, সেটি তো নির্দোষ টিউমার বা বিনাইন টিউমার। এটি হলে আমরা মলদ্বারে আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে দেখি। তখন আমরা টিইউআরপি করি। ট্রান্সইউরেথ্রাল প্রোস্টেট রিসেকশন করি। আমাদের দেশে এখন প্রায় জায়গাতেই এটি চালু হয়েছে। প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বিদ্যুতের তরঙ্গ দিয়ে প্রোস্টেটকে বের করে নিয়ে চলে আসি, ছোট ছোট টুকরো করে। একসময় আগে পেট কেটে প্রোস্টেট বের করা হতো, ব্লাডার কেটে বের করা হতো, এখন আর সেটির দরকার হয় না। কিন্তু নতুন সংযোজন হলো এখন আমরা থুলিয়াম লেজার নিয়ে এসেছি। সেটি দিয়ে রক্তপাতহীনভাবে আরো আধুনিকভাবে করা হচ্ছে। টিইউআরপি হলো বিদ্যুতের শক্তি আর লেজার হলো আলোর শক্তি।