অ্যাজমার চিকিৎসা কী
অ্যাজমা শ্বাসতন্ত্রের একটি সমস্যা। বিভিন্নভাবে এর চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত এটি নিরাময়যোগ্য নয়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন সহকারী অধ্যাপক রৌশনী জাহান। বর্তমানে তিনি জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেসপিরেটরি বিভাগের ইউনিট-প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যখন বোঝেন রোগী অ্যাজমায় ভুগছে, তখন পরামর্শ কী কী থাকে। সেই ক্ষেত্রে কী কী চিকিৎসাপদ্ধতি গ্রহণ করেন।
উত্তর : অ্যাজমার চিকিৎসা একটু সময়সাপেক্ষ। কারণ, অ্যালার্জেনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে একটু ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। এখানে ফার্মাকোলজিক্যাল এবং নন ফার্মাকোলজিক্যাল দুটো মাধ্যমেই আমরা রোগীকে চিকিৎসা করে থাকি। ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে কতগুলো পরামর্শ দিই। অ্যাজমা চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য একটা পরিকল্পনা দিয়ে দিই। সেখানে ওনারা তার অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না নিজেই ‘সেল্ফ এসেসমেন্ট’ করতে পারে। অ্যালার্জেন নির্ণয় করার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। তবে অ্যাজমার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তার মধ্যে আমরা যেগুলো অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করি, সেগুলো নাও থাকতে পারে। রোগীকে আমরা বলি, আপনি কি বুঝতে পারেন যে কী করলে এমন হয়। অনেক সময় খাবারে হতে পারে। এ ছাড়া খুব ঠান্ডায় সমস্যা হয়। ধুলাবালিতে যাওয়া ছাড়াও রোগী যখন খুব ঘেমে যায়, প্রচণ্ড ঘাম নিয়ে হঠাৎ করে যখন ঠান্ডা পানি পান করেন, তখনো কিন্তু অ্যাজমার অ্যাটাকটা বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে গেলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু করেন কীভাবে।
উত্তর : তাদের যখন রোগের পরীক্ষা করি, কিছু কিছু জিনিস আমরা দেখতে পাই। তখন আমরা সন্দেহ করি যে রোগীটির অ্যাজমা হতে পারে। তার কাশি হয়, এর সঙ্গে শাঁ শাঁ শব্দ হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে তার শ্বাসকষ্ট হয়। আমরা দেখি তার অ্যাজমার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে কি না। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তখন তার কিছু পরীক্ষা করে নিই। পিক ভ্যারিব্যালিটি পরীক্ষা করি, পাইরোমেট্রি করি। শ্বাসকষ্টের অবসট্রাকশনের ধরন সেটি আমরা বুঝতে পারি।
প্রশ্ন : অ্যাজমার ধরন বোঝার প্রয়োজনীয়তা কী? সেটি কি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করে?
উত্তর : রোগ যত তাড়াতাড়ি নির্ণয় হবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা তার চিকিৎসা শুরু করতে পারব। তার ফুসফুসের জটিলতাকে দূর করতে পারব। একে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। কারণ, আমরা জানি, অ্যাজমা নিরাময়যোগ্য নয়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটা নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুরোপুরি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।