চিকুনগুনিয়ার রোগীরা ঈদ ভ্রমণে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
কিছুদিন আগে চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেশ বেড়েছিল। এখনো এর প্রভাব রয়েছে রোগীদের ভেতর। যেসব রোগী চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এখনও দুর্বলতা ও ব্যথা অনুভব করছেন, তাঁদের ঈদ ভ্রমণের কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলে ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ঈদ ভ্রমণে আগে থেকে প্রতিরোধ করা যায় এমন বিষয়গুলো কী।
উত্তর : এখন কিন্তু ঈদ হবে শরতে। একটু শুষ্কতা রয়েছে, সঙ্গে একটু ঠান্ডাভাবও রয়েছে। আমরা যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাব, প্রথমে হবে পরিবেশগত পরিবর্তন। এখন বর্ষা চলে গেলেও পানিবাহিত ও খাদ্যবাহিত রোগ কিন্তু চলছে। সেই রমজানে চিকুনগুনিয়া শুরু হয়েছে। এখনো এর প্রভাব ও দুর্বলতা রয়েছে।
প্রশ্ন : দেখা যায় যিনি সেই সময় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি এখন ব্যথা ও দুর্বলতা নিয়েই ভ্রমণ করছেন। তখন তাঁর আসলে কী করা দরকার।
উত্তর : ওষুধপত্র সঙ্গে রাখার প্রতি, পানীয় ও ওরস্যালাইন রাখার প্রতি খেয়াল দিতে হবে। যেহেতু যাত্রাপথে বাইরের কোনো জিনিস খাওয়া ঠিক নয়, তাই নিজের পানীয় ও ওরস্যালাইন সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পানি ও পানীয় রাখা জরুরি এবং সেটি অবশ্যই নিজের বাড়ি থেকে হতে হবে।
প্রশ্ন : অনেকে বাইরে থেকে পানি বা পানীয় কিনে খান। এই বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী।
উত্তর : আসলে আমি যদি কোনো প্যাক মিনারেল ওয়াটার কিনে খাই, সেটি ঠিক আছে। তবে আমি খোলা কিছু খাব না। কারণ এই ঋতুতে পানিবাহিত ও খাবারবাহিত রোগ হয়ে ঈদের যে ছুটি, একে নষ্ট করে দেবে। এটি আপনার সঙ্গে পুরো পরিবারকে ভোগাবে।
আর অনেকে হয়তো গ্রামে চলে গেছেন, আবার অনেকে যাবেন, আবার ছুটি শেষে তো ফিরে আসতে হবে, তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।