প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা যেভাবে হয়
প্রোস্টেট ক্যানসারের ভালো চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে হচ্ছে। প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করি, আপনাদের কাছে যদি শুরুর দিকে আসে, তখন আপনারা কী ধরনের ব্যবস্থাপনা করেন?
উত্তর : প্রোস্টেট ক্যানসারের নানাভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব। প্রথম দিকে যদি আসে, সার্জারি করা সম্ভব। সার্জারিতে কিছু কিছু সেক্সুয়াল ফাংশনের সমস্যা হয় দেখে তিনি সার্জারিটা এড়িয়ে যেতে চান। তবে আধুনিক যুগে অনেক ভালো ভালো সার্জনরা আছেন। রোবটিক সার্জারি বলে একটি সার্জারি চালু হয়েছে, এর মাধ্যমে ভালোভাবে সার্জারি করা সম্ভব। তা ছাড়া রেডিয়েশন থেরাপি বলি, ইনটেনসিটি মডিউয়েশন রেডিয়েশন থেরাপি বলি, আরো কিছু চিকিৎসা রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে প্রোস্টেটের চিকিৎসা করলে সে যদি পর্যায় এক – এ আসে, তাহলে ৯৯ ভাগ প্রোস্টেটের ক্ষেত্রে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব।
প্রশ্ন : যখন রোগ নিয়ে খুব অগ্রবর্তী পর্যায়ে আসে কতখানি জটিলতায় পড়ে যায় তারা?
উত্তর : অনেক জটিলতায় পড়ে। কারণ, হরমোন থেরাপি আমাদের প্রোস্টেটের একটি অংশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের হরমোন থেরাপি ব্যবহার করতে হয়। তবে যদি হাঁড়ে ছড়িয়ে যায়, তখন কিন্তু আমাদের ক্যামোথেরাপিও দিতে হয়। এগুলো করার পর রোগীরা পাঁচ বছর সারভাইভাল হতে পারে।
প্রশ্ন : ক্যামো বা রেডিওথেরাপি করতে অনেকেরই ভয় কাজ করে, সেগুলো আপনারা কীভাবে দিয়ে থাকেন?
উত্তর : রোগীদের একটি প্রশ্ন থাকে চুল পড়ে যাবে কি না-এই বিষয়ে। এটি রোগীদের প্রচলিত প্রশ্ন। তারপর জানতে চায় শরীরে আর কী ক্ষতি হবে? আসলে চুল পড়ে গেলেও দুই মাসের মধ্যে চুল ওঠে যায়। আর সব ক্যামোথেরাপিতে সমপরিমাণ চুল পড়েও না। যখন দেখে যে তার পাশে অন্য রোগীরাও ক্যামো নিচ্ছে এবং তারাও একইরকমভাবে ভালো অনুভব করছে, সাধারণত তখন রোগীরা ভয় পায় না। ৯৯ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে জটিল সমস্যা আজকাল হয় না।