কসমেটিক সার্জারি করা হয় যেসব ক্ষেত্রে
প্লাস্টিক সার্জারির একটি বড় অংশ কসমেটিক সার্জারি। সৌন্দর্য বাড়াতে কসমেটিক সার্জারি করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৫১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আহমেদ। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কমসেটিক সার্জারি প্লাস্টিক সার্জারির বড় একটি অংশ। আর আমরা প্রত্যেকেই সুন্দর হতে চাই। মানুষের শরীরে সাধারণত কী কী ধরনের কসমেটিক সার্জারির দরকার হয়?
উত্তর : মানুষের শরীরে কসমেটিক সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। যেমন কেউ হয়তো নাকটা আরেকটু উঁচু করতে চান, একটু সুন্দর করতে চান অথবা কারো হয়তো বয়সের জন্য বলিরেখা পড়ে গেছে, চামড়ার মধ্যে ভাঁজ পড়ে গেছে অথবা মুখটা একটু ঝুলে গেছে। সেটা একটু টাইট করতে চান, একটি তরুণ চেহারা আনতে চান, একে আমরা বলি ফেইস লিফট। আরেকটি হলো চোখের পাতা একটু ঝুলে গেছে, যাকে ব্যাগি আইস বলি, সেটা টাইট করতে চান—এগুলো করা হয়। অনেক সময় থুঁতনির নিচে চামড়াটা ভাঁজ পড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে সেটা ঠিক করা যায়। একটি তরুণ চেহারা দেওয়া যায়। ঠোঁটের ক্ষেত্রে মোটা- চিকন করে হয়।
ব্রেস্টের কসমেটিক সার্জারি আছে। ম্যাসটোপ্যাকসি অপারেশন করা হয়। এরপর আছে পেটের মধ্যে। পেটে বেশি চর্বি জমে অথবা ঝুলে যায়। সেটা আমরা মেশিনের মাধ্যমে চর্বি বের করে অথবা পেট কেটে একটি অস্ত্রোপচার করি। এটি হলো এবডোমিন প্লাস্টি। এরপর আমরা থাই লিফট করতে পারি। থাই অনেক সময় ঝুলে যায়। সেটি করতে পারি। বাটক লিফট করতে পারি। অনেক সময় দেখা যায়, হাতের নিচে চর্বি জমে, একে কমাই। এই কাজগুলো আমরা সাধারণত করে থাকি।
চুলে স্থায়ী চুল লাগানো, অর্থাৎ হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট আমরা করে থাকি। আবার ঠোঁট কাটা, তালু কাটার রোগীদের কসমেটিক সার্জারি করা হয়। আবার পুড়ে যাওয়ার অনেক ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সার্জারি, কসমেটিক সার্জারি করা হয়।