বন্ধ্যত্বের দায় কার—নারী, না পুরুষের?
সারা বিশ্বেই বন্ধ্যত্ব প্রচলিত একটি সমস্যা। বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ দুজনেই সমানভাবে দায়ী থাকতে পারে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৯৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাজনীন আহমেদ।
বর্তমানে তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সাধারণত বন্ধ্যত্বের পেছনের কারণগুলো কী হতে পারে?
উত্তর : আসলে এর অনেক কারণ রয়েছে। স্বামীর কারণেও সমস্যা হতে পারে, স্ত্রীর কারণেও সমস্যা হতে পারে। নারীর কারণে দেখা যায় ৪০ ভাগ বা ৫০ ভাগ সমস্যা হতে পারে। পুরুষের কারণে মোটামুটিভাবে সমান ভাগ সমস্যা থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০/৪০ ভাগ সমস্যা থাকতে পারে। আবার দেখা গেল, নারী বা পুরুষ উভয়েরই হয়তো সমস্যা রয়েছে।
আবার কিছু সংখ্যা রয়েছে, যাদের বলা হয় আনএক্সপ্লেইনড (ব্যাখ্যা করা যায় না)। ৮০ ভাগ দম্পতি এক বছর পার করলে দেখা যায়, তারা গর্ভধারণ করতে পারছে। যারা গর্ভধারণ করে না, তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় ভেঙে পড়ে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সামাজিক একটি চাপও থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়ের ওপর চাপ আসে। এটার জন্য খুব বেশি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া বন্ধ্যত্বের একটি কারণ। তখন যদি ভালোমতো কাউন্সেলিং করা হয়, তাহলে ভালো। ছোটখাটো ভিটামিন ট্যাবলেট আমরা দিয়ে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভাবস্থা হয়ে যায়। বাকি ১০ ভাগের তখনো কিছু ফ্যাক্টর থাকতে পারে। এটা নারী বা পুরুষ বা উভয়ের কারণে থাকতে পারে।