ব্রণের চিকিৎসায় করণীয়
ব্রণের সমস্যা হয় না এমন লোক খুঁজে পাওয়া হয়তো মুশকিল। ব্রণের সমস্যা সমাধানে বেশ উন্নত চিকিৎসা রয়েছে বাংলাদেশে। ব্রণের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯০১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জাহেদ পারভেজ। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিডিভি ও এমপিএইচ ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রশ্ন : অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখি, ব্রণ হওয়ার পর সংক্রমিত হয়ে যায়। অনেকে ব্রণকে নখ দিয়ে খুঁটে। এসব বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : আমরা যেসব রোগীকে পাই, বেশিরভাগই খবর নিলে দেখা যায়, ব্রণ একটি উঠল সেটি রাখতে চান না। সে জন্য হাত দিয়ে বা নখ দিয়ে খুঁটে অথবা সুই দিয়ে একে খুঁটে আরো বেশি সংক্রমিত করে ফেলেন। তাদের ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হবে, মুখটা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ব্রণকে খুব বেশি চাপাচাপি করা যাবে না বা ভেতর থেকে ময়লা বের করার চেষ্টা করা যাবে না। প্রয়োজনে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সাধারণ মানের কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্ন : কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ব্রণ ওঠে। পুরো মুখটা জুড়েই ব্রণ ওঠে, ফুলেও যায়। এটি কেবল সৌন্দর্যহানিই ঘটায় না, এটি কষ্টও দেয়। সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য আপনারা কী চিকিৎসা দেন?
উত্তর : তাদের ক্ষেত্রে আমরা সর্বপ্রথম কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। দেখি, তার কোনো পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম রয়েছে কি না, হরমোনের কোনো ভারসাম্যহীনতা রয়েছে কি না। পাশাপাশি তাকে মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য রোগটি সম্পর্কে একটি ধারণা দিই। আজকাল ব্রণের জন্য আধুনিক অনেক চিকিৎসা চলে এসেছে। আইসোট্রিটিনিয়ন। এটি সেবাসিয়াস গ্রন্থির কার্যক্রম একটু কমিয়ে দেবে। কিছু বিশেষ মানের অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, সেটিও কাজ করবে, এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ আমরা দিতে বলি রোগীদের। তবে সেটি অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে থেকে করতে হবে। এর মাধ্যমে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।