মাসকুলোস্কেলেটাল আলট্রাসাউন্ড কাদের করা যায়?
বাতব্যথার রোগ নির্ণয়ে মাসকুলোস্কেলেটাল আলট্রাসাউন্ড করা হয়। তবে কাদের ক্ষেত্রে এই আল্ট্রাসাউন্ড বেশি প্রোযোজ্য, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৩৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মিনহাজ রহীম চৌধুরী।
বর্তমানে ডা. মিনহাজ রহীম চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রিউমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে আপনারা এই পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
উত্তর : আমাদের রিউমেটোলজিতে যতগুলো রোগ রয়েছে, প্রায় সবই আমরা এর আওতায় নিয়ে আসতে পারি। রিওমাটোলজির রোগগুলোর ক্ষেত্রে আমরা এটি করার পরামর্শ দিতে পারি। রিউমাটোলজিতে যে অসংখ্য রোগ, সেগুলো বেশিরভাগ কিন্তু জয়েন্ট, অর্থাৎ আমাদের যে জোড়াগুলো রয়েছে হাড়ের সঙ্গে, এগুলোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রায় সবই কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ড করতে পারি। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে এই আল্ট্রাসাউন্ড করা যায়।
এগুলোকে আমরা বলি প্রদাহজনিত বাত। আমরা বাতগুলোকে ভাগ করি প্রদাহজনিত ও অপ্রদাহজনিত- এভাবে। আমরা বাতগুলোকে প্রথমে ভাগ করার চেষ্টা করি। এই জায়গাটা অত্যন্ত কার্যকরভাবে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে দিতে পারে। আবার হাড়গুলোর মাংসপেশির যেখানে লেগে থাকে হাড়ের সঙ্গে,এগুলোকে টেনডন বলি। টেনডনগুলোর লেশনের জন্য অনেক সময় কিন্তু ব্যথা হয়।
ধরুন, কারো যদি কাঁধে ব্যথা হয় অথবা পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয়, সেখানে একটি প্রদাহ হয়। এভাবে ব্যথাটা তৈরি হয়। এই আল্ট্রাসোনোগ্রাম অত্যন্ত ভালোভাবে এই রোগগুলো নির্ণয় করতে পারে। এরও বাইরে রোগীর হয়তো জয়েন্ট ফুলে রয়েছে, এগুলোর ক্ষেত্রে করতে পারি। কিছু বাত রয়েছে যেমন আমি উদাহরণ স্বরূপ বলি অস্টিওআরথ্রাইটিস, একটু বয়স্ক মানুষদের বেশি হয়। আমরা কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে এই পরীক্ষাটা করি। বলে দিতে পারছি রোগটি এটি। বলে দিতে পারছি এই জয়েন্টের কতটুকু ক্ষতি হলো। কোন পর্যায়ে রয়েছে। কতটুকু ভালো রয়েছে। সাধারণত এ সব বাতব্যথার রোগীদের ক্ষেত্রে মাসকুলোস্কেলেটাল আলট্রাসাউন্ড করা যায়।