অ্যালার্জির কারণে হাঁচির সমস্যায় করণীয়
অ্যালার্জির কারণে হাঁচির সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি থাকলে ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
অ্যালার্জির কারণে হাঁচির সমস্যার চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৫৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফুয়াদ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। বর্তমানে তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইএনটি ও হেড নেক সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অ্যালার্জির কারণে হাঁচির সমস্যায় কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
উত্তর : যখন হাঁচি দেবে, সমস্যা হবে, তখনই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এটা কিন্তু বার বার করেই হয়। যখন চিকিৎসকের কাছে যায়, চিকিৎসক কিছু ওষুধ দেয়। তখন সে কিছুদিন ভালো বোধ করে। তবে রোগী আর সেগুলো নিয়মিত করে না। এখানে প্রতিটি ওষুধই একটু দীর্ঘমেয়াদি দেয়া হয়। তবে রোগীরা কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর বন্ধ করে দেয়। এই যে স্টেরয়েডগুলো, এগুলোর ক্ষেত্রে তারা মনে করে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
একটি বিষয় হলো, ঋতুর যে একটি ক্রান্তিকাল যাবে,সেই সময়ে যদি টানা ওষুধগুলো ব্যবহার করে, তাহলে হয়তো সারা বছরই ভালো থাকবে। টানা দুই/ তিন মাস ব্যবহার করলে মোটামুটি সুরক্ষা হয়ে যায়। সমস্যাটা হয়, সে সাত দিন বা ১০ দিন ওষুধ খেল, এরপর আর খেল না। আবার হলো, আবার খেল, আবার খেল না। তাহলে হবে না। আরেকটি বিষয় এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, জীবন যাত্রার কিছু পরিবর্তন কিন্তু আনতে হবে। হঠাৎ করে হয়তো সে শীতের বাতাস খাওয়ার জন্য বারান্দার মধ্যে দাঁড়ালো, তাহলে হবে না। তার বাসায় হয়তো কার্পেট রয়েছে, সেখান থেকে ধুলো জমে, সেটি তার জন্য বিব্রতকর। সে হয়তো ঝুল ঝাড়তে পছন্দ করে, এটা কিন্তু তার জন্য ভালো নয়। কোনো প্রাণী হয়তো বাসায় পুষছে, হয়তো তিনি জানেও না, এটা থেকে সমস্যা হচ্ছে।
আর খাবারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট খাবারে সমস্যা হয়। তবে এটি ওই ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট, তবে সবার জন্য সমস্যা নয়। অনেকে আছে যে বেগুণ খাবো না, গরুর মাংস খাবো না, ইলিশ মাছ খেলাম না- এমন করেন। সেটিতে দেখা যাচ্ছে অ্যালার্জি আসলে হচ্ছেই না। এই ভালো খাবার থেকে তিনি হয়তো নিজেকে বঞ্চিত করছেন। প্রথম হলো, জীবন যাত্রার পরিবর্তন করতে হবে। আরেকটি হলো সতর্ক হওয়া। যে ওষুধগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেন সেগুলো একটু মেনে চলা। এই জাতীয় অসুখগুলো বিরক্তি করে। ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা এমন একটি অসুখ যেটা মানুষকে ভোগায়। ওষুধগুলো অবশ্যই নিয়মিত করতে হবে। যতদিন বলা হয়, ততদিন খেতে হবে।