‘রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমাধানযোগ্য’
ক্যানসারের চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে এগুলো নিয়ে অনেকের ভেতর ভীতি কাজ করে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৬২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রকিব উদ্দীন আহম্মেদ।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেকের মধ্যে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি নিয়ে একটু ভীতি কাজ করে। এর উন্নতি কতখানি?
উত্তর : আসলে প্রথম হচ্ছে কাউন্সেলিং। আমরা যদি রোগীকে সম্পূর্ণভাবে বোঝাতে সমর্থ হই, একটার পর একটা পরিকল্পনা যদি প্রথম থেকে ছক করে করা যায়, যদি আমরা মা-বোনদের বোঝাতে পারি, চিকিৎসা নেওয়া তখন সহজ হয়ে যায়। আসলে ক্যানসারের ডাক্তারের ক্ষেত্রে রোগীর সম্পর্কটা একটু ভিন্ন। বলা যেতে পারে আপনজনের মতোই। কারণ, দীর্ঘদিন তাকে চিকিৎসকের কাছেই থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা সেভাবে কাউন্সেলিং করেই করতে পারি। রেডিওথেরাপিতে আসলে ভয়ের কিছু নেই। রেডিওথেরাপি মানে এক্স-রে দিয়ে চিকিৎসা। আমরা তো সিটি স্ক্যান, এক্স-রে করি। মেশিনের মাধ্যমে পরিকল্পনা করে আমরা কেবল সেটি দিয়ে থাকি। এখানে কোনো ব্যথার সুযোগ নেই বা দেখার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ হলে যেখানে রেডিওথেরাপি দিচ্ছি, সেখানে ত্বকে কোনো সমস্যা হতে পারে। সেটিও চিকিৎসাযোগ্য। চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সমাধানযোগ্য।
এখন আবার ভ্যাক্সিনেশন এসে গেছে। ভ্যাক্সিন দিয়ে জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারি।