শীতকালে ত্বক পুড়ে যাওয়া
বিভিন্ন কারণে একজন ব্যক্তি পুড়ে যেতে পারে। তবে শীতে সাধারণত দুইভাবে পোড়ার ঘটনা বেশি ঘটে। একটি আগুনের তাপ পোহাতে গিয়ে, আরেকটি হলো গরম পানির কারণে।
পুড়ে যাওয়ার কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৬৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মারুফুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্ল্যাস্টিক সার্জারি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কী ধরনের পোড়া রোগী আপনারা বেশি পেয়ে থাকেন?
উত্তর : এক সময় এসিড বার্ন আমাদের অনেক ছিল। এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগীরা ভাবে, এর অর্থ হলো আগুন দিয়ে পোড়া। তবে আগুন দিয়েই যে পুড়ে যাবে, সেটি কিন্তু নয়। অনেকভাবেই পুড়তে পারে। ক্যামিল্যাল ইনজুরি হতে পারে, ইলেকট্রিক্যাল বার্ন হতে পারে। এমনকি পানি দিয়েও পুড়তে পারে। গরম পানি দিয়ে হতে পারে। এটি শীতকালে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।
শীতকালে দুই ধরনের পোড়ার সবচেয়ে বেশি মুখোমুখি হই। একটি হলো ফ্লেম বার্ন বা আগুনে পোড়া। বেশিরভাগ সময় এই ধরনের রোগীগুলো হয় প্রাপ্ত বয়স্ক নারী। নারী ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন হতে দেখা যায়। আগুন তাপাতে গিয়ে কাপড়ে আগুন লেগে এমন সমস্যা হতে পারে।
আবার বাচ্চারা এই সময় খুব ভোগে। মা-খালারা গরম পানিতে গোসল করাতে চায়। শীতকালে তারা ভাবে একটু গরম পানিতে গোসল করালে হয়তো বাচ্চার ঠান্ডা লাগবে না। এখানে তারা একটি ভুল করে। ভুলটা কোথায়? আমাদের ত্বক আর শিশুদের ত্বক কিন্তু এক রকম নয়। বিশেষ করে যারা ছোট বাচ্চা, তাদের ত্বক হলো রসুনের চামড়ার মতো পাতলা। এখন আমি পানি গরম করলাম, আঙুল দিয়ে চেক করলাম। ভাবলাম, পানি সহনীয় রয়েছে। আমাদের ত্বক অনেক মোটা। তারা কিন্তু তখন গরমটা ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলতে পারল না। ছোট বাচ্চা এতে পুড়ে যেতে পারে। এটি দিয়েই পুড়ে যাচ্ছে।
আবার কোথায় হয়তো গরম পানি রেখেছে, সেই পানিতে হাত দিয়ে শিশু পুড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের রোগী আমরা অনেক পাই এ সময়।