‘হিস্টেরোস্কোপির প্রশিক্ষণ আমাদের দেশে তুলনামূলক কম’
হিস্টেরোস্কোপি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি দিয়ে রোগ নির্ণয়ও করা যায়। অনেকটা লেপারোস্কোপির মতো। সাধারণত বন্ধ্যাত্ব ও নারী স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে এর প্রচলন আমাদের দেশে অনেক কম।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৭০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. তৌহিদা আহসান। বর্তমানে তিনি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হিস্টেরোস্কোপিক চিকিৎসায় কী ধরনের সাড়া পাচ্ছেন?
উত্তর : আমরা অনেক আগে থেকে এই বিষয়ে বইয়ে পড়ে আসছি। আমাদের শিক্ষার্থীদেরও পড়াই। তবে বাস্তবে এর ব্যবহার তেমন নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে হাতেগোনা কয়েকজন গাইনোকোলোজিস্ট, এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও অস্ত্রোপচার করছেন। রোগ নির্ণয় অনেকে করেন। এটি তুলনামূলক সুবিধাজনক। তবে সার্জারি করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের বিষয় রয়েছে। প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
আর একটি বিষয় আমি বলব, যন্ত্রের দাম অনেক। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও যন্ত্র কিনে করার সামর্থ্য থাকে না। তাই যেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা রয়েছে, তারা যদি কিনে রাখে, এর প্রচলন বাড়বে।
অনেক সময় দেখা যায় অনেকের খুব রক্তপাত হচ্ছে, তবে কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। তখন অনেক ওষুধ দিয়ে যখন চিকিৎসায় অকার্যকর হয়, তখন জরায়ু ফেলে দেওয়া হয়। তবে আমরা জানি, এতে এন্ডোমেট্রিয়াম যদি বের করে দিতে পারি, হয় তার রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে, না হলে একদমই কমে যাবে। তাহলে তার নিরাময় হয়ে গেল। তবে সেটি না করে, আমাদের জরায়ু ফেলে দেওয়ার অবস্থা হয়। একে অনেকাংশে রোধ করা যায় হিস্টেরোস্কোপির মাধ্যমে।
অনেক সময় এন্ডোমেট্রিয়াল কারসিনোমা যেটি, এটি অনেক সময় আমরা ধারণা করে করি, ডিএনসি করি, তবে না দেখে। একটি চিকন যন্ত্র ঢুকিয়ে, আমরা নিয়ে এসে পরীক্ষায় দেই। এতে ছোট একটি এন্ডোমেট্রিয়াল কারসিনোমা থাকলে সেটি বাদ যেতে পারে। তবে যখন আমরা হিস্টোরোস্কোপিক পরীক্ষা করব, তখন রোগ নির্ণয় ঠিক হবে।