নিউক্লিয়ার মেডিসিন যেসব রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার হয়
তেজষ্ক্রিয়তা ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসার করার পদ্ধতি হলো নিউক্লিয়ার মেডিসিন। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৭৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নূরুন নাহার। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস, বিএমএম-এর পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়ার মেডিসিনে আপনারা কী নিয়ে কাজ করেন?
উত্তর : আসলে নিউক্লিয়ার মেডিসিন মেডিসিনের এমন একটি বিষয় যেখানে আমরা অল্প পরিমাণ তেজষ্ক্রিয়তা ব্যবহার করে, বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং রোগের চিকিৎসা করে থাকি। আমরা জানি তেজষ্ক্রিয়তা ক্ষতিকর। তবে আমরা এখানে অল্প পরিমাণ ব্যবহার করি। এতে লাভই বেশি হবে। আমরা রোগ নির্ণয় করতে পারব এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাও করতে পারব।
প্রশ্ন : প্রচলিত যেই প্যাথলজিগুলো রয়েছে তার তুলনায় নিউক্লিয়ার মেডিসিন কোন অর্থে ভালো? আমরা কেন এটা গ্রহণ করব?
উত্তর : আমরা এখানে যে রোগ নির্ণয় করি সেগুলো প্রচলিত ব্যবস্থার চেয়ে একটু আলাদা। আমরা রেডিও আইসোটোপ ব্যবহার করছি। যেমন ধরুন, বোন স্ক্যান। একটি এক্স-রে করলেও আমরা হাড়ের তথ্য পেতে পারি। কিন্তু এখানে আমরা অনেক প্রাথমিক পর্যায়ে ধরতে পারি। রোগীর সামান্য পরিমাণ পরিবর্তন হলে আমরা হাড়ের স্ক্যান করে বুঝতে পারব।
এনাটোমিক্যাল ও ফাংশনাল দুটো স্ক্যানই এখানে দেখা যায়।যেহেতু ফাংশনাল, কাজেই কার্যত পরিবর্তন যেখানে হয়, তখন আমরা এটা অনেক প্রাথমিক পর্যায়ে বুঝতে পারি। এই জন্য আমি বলব, এটি ভালো।
প্রশ্ন : বোন স্ক্যান ছাড়া অন্য কী পরীক্ষা করে থাকেন?
উত্তর : আমরা কিডনি স্ক্যান করি। লিভার স্ক্যান, ব্রেইন স্ক্যান, এরপর হেপাটোবি লেয়ার স্ক্যান, গ্যাসটোইনটেসটাইনাল ব্লিডিং হয় কি না, এর স্ক্যান, এরপর থাইরয়েড স্ক্যান এগুলো করি। কিডনি স্ক্যানে আমরা কিডনির কোনো বাধা রয়েছে কি না দেখার জন্য কিডনি স্ক্যান করি। সেখানে কিডনির কার্যক্রমের কতটা ক্ষতি হয়েছে সেই জিনিসটি, বুঝতে পারি। এটি করলে আমরা কিডনির কার্যক্রম আলাদা আলাদা ধরতে পারি। এটি একটি বিশেষ সুবিধা। পরে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়
প্রশ্ন : আপনারা কি হরমোন অ্যাসেসমেন্ট করেন?
উত্তর : হ্যাঁ, সেটি করা হয়। থাইরয়েড হরমোন, বিভিন্ন গাইনোকোলোজিক্যাল হরমোন করি। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করে করি।
নিউক্লিয়ার মেডিসিনে নতুন সংযোজন হলো পেট সিটি। এটি হলো পজিট্রন ইমিশন টোমোগ্রাফি। এখানে খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসারটা ধরা যায়। এই জিনিসগুলো খুব ভালোভাবে বোঝা যায়। এটি চিকিৎসা পরিকল্পনা করতে চিকিৎসকদের অনেক সাহায্য করে।