জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন যেভাবে দেয়
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এখন ভ্যাক্সিন রয়েছে। এই ভ্যাক্সিনের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রওশন আরা। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে রয়েছেন।
প্রশ্ন : জরায়ুমুখের ক্যানসার এত বেশি হচ্ছে কেন?
উত্তর : আমি মনে করি জরায়ুমুখের ক্যানসার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। কারণ, স্ক্রিনিং প্রোগরামের কারণে আগে যতখানি ছিল, এখন অনেকাংশে সচেতন হয়ে গেছে। এখন সব মেডিকেল কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সবাই এখন জানে যে ভায়া পরীক্ষা করলে জরায়ুমুখের ক্যানসারের পূর্ববর্তী অবস্থা জানতে পারব। তাদের সেভাবে কাউন্সেলিং করেও দেওয়া হয়। একবার যদি স্ক্রিনিংয়ে সে সুস্থ থাকে, তাহলে আমরা মনে করি, সে তিন বছরের জন্য সুস্থ রয়েছে।
এ ছাড়া আরো কিছু পরীক্ষা রয়েছে। যেমন প্যাপস পরীক্ষা। প্যাপসমেয়ার পরীক্ষা করেও জরায়ুমুখের ক্যানসারের পূর্ববর্তী অবস্থা জানা যায়।
আরেকটি খবর হলো নতুনভাবে একটি ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়েছে, যেটি জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রতিশেধক হিসেবে এসেছে। এটি রিপ্রোডাকটিভ এইজ বা প্রজনন বয়সে সবাইকেই দিতে পারি। যদি কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, সে সময় আমরা এটি দেই না। কোনো মা যদি সন্তান সম্ভাবা থাকেন, সেই ক্ষেত্রেও আমরা ভ্যাক্সিনটা দেই না। ১৩ বছর বয়সের পর থেকে এটা শুরু করা যায়।
প্রশ্ন : ভ্যাক্সিন দেওয়ার আগে কি আপনারা কিছু দেখেন?
উত্তর : না, তেমন কোনো বিষয় নয়। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে আমরা জরায়ুমুখ দেখে নিতে পারি। কারণ, ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে প্রতিরোধমূলকভাবে। ক্যানসার যখন একবার হয়ে যায়, তখন তো আর ভ্যাক্সিন দিয়ে লাভ নেই। আর ভ্যাক্সিনে তিনটি ডোজ রয়েছে। আমার শুরুতে একটি দেই। এক মাস পরে দ্বিতীয় ডোজটা দেই। প্রথম ডোজ থেকে ছয় মাস পরে তৃতীয় ডোজ দেই।