অ্যাপেনডিসেক্টোমি কীভাবে করা হয়?
অ্যাপেনডিসাইটিসের অস্ত্রোপচারকে বলা হয় অ্যাপেনডিসেক্টোমি। এটি কীভাবে করা হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসেম খান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রশ্ন : কীভাবে অ্যাপেনডিসেক্টোমি আপনারা করেন?
উত্তর : আসলে অ্যাপেনডিসাইটিস বিষয়টি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ জানে ও বোঝে। আমরা যখন প্রশ্ন করি, তারা বলে যে আমার অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে। আমরা যখন বলি আপনি কী করে বুঝলেন আপনার অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে, তখন তারা লক্ষণ বলে। বলে, আমার পেটের ডান দিকে ব্যথা, আমার বমি হয়।
আমাদের দেশে অ্যাপেনডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার পদ্ধতি অবশ্যই বিশ্বমানের। সার্জারি আমরা দুই ধরনের করি। একটি হলো ওপেন সার্জারি। পেটের ডান দিকে , নাভির ডান পাশে একটি পয়েন্ট রয়েছে, সেখানে আমরা একটি ছোট ইনসিশন দেই। আমরা বলি কসমেটিক সার্জারি।
আরেকটি যেটি রয়েছে, বিশ্বব্যাপী যেটি এখন জনপ্রিয় সেটি হলো ল্যাপারেস্কোপিক সার্জারি। পেটে ছোট ছিদ্র করে যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা অ্যাপেনডিক্স বের করে নিয়ে আসি।
প্রশ্ন : ল্যাপারেস্কোপির ক্ষেত্রে অনেকের ভীতি থাকে। সেক্ষেত্রে আপনারা রোগীকে বোঝান কীভাবে?
উত্তর : ল্যাপারেস্কোপি সার্জারি আধুনিক ও উন্নতমানের। তবে এই সার্জন যদি অত্যন্ত দক্ষ না হয়, অভিজ্ঞ না হয়, তাহলে না করাই ভালো। ছোট ছোট ফুটো করে যন্ত্রের মাধ্যমে এটা বের করা, অভিজ্ঞ সার্জন না হলে এতে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সেই জন্য যদি দক্ষ সার্জন না হয় ল্যাপারেস্কোপিতে, আমরা ওপেন সার্জারি করতে বলি। সেটা কিন্তু ছোট একটা অস্ত্রোপচার। যেখানে কাটা হয় সেটিও খুব ছোট। এক সেন্টিমিটার বা দুই সেন্টিমিটার।
আজ থেকে ১০-২০ বছর আগে যে সেলাই কাটার ঝুঁকি ছিল, সেগুলো এখন কিছুই নেই। রোগী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। তুলনামূলকভাবে খরচ কম। সে এক সপ্তাহ পরে এসে কেবল তার ড্রেসিংটা পরিবর্তন করে নিলে তার আর কোনো অসুবিধা থাকে না।