‘খাদ্যে কীটনাশক, প্রিজারভেটিভের ব্যবহার রোধে জোরদার তদারকি প্রয়োজন’
খাদ্য প্রস্তুতের সময় মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, আবার সংরক্ষণের সময় প্রিজারভেটিভ ব্যবহার—এগুলো স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এগুলোর ব্যবহার কমাতে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নীলাঞ্জন সেন। বর্তমানে তিনি ব্যাংকক হসপিটাল বাংলাদেশ অফিসের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় বা ফল পাকানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয়। এগুলোতে প্রচলিতভাবে কী ব্যবহৃত হয়? এর ক্ষতি কী?
উত্তর : মাছ সংরক্ষণের জন্য একটি সময় ফরমালিন খুব ব্যবহার করা হতো। এখন ফলমূলের মধ্যেও, শাকসবজির মধ্যেও ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে। কার্বামেটস দিয়ে আম পাকিয়ে ফেলে হচ্ছে। একে কী বলা যায়? চরম রকম চরিত্রহীনতা।
প্রশ্ন : এ জায়গা থেকে উত্তরণের পথ কী? আমরা কীভাবে এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারব?
উত্তর : এক নম্বর যদি বলি রাষ্ট্রীয় কর্তব্য কী? গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তার যে রাষ্ট্রযন্ত্র, তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর সঠিক পরিমাণে, সঠিক পর্যায়ে কীটনাশক ব্যবহার যেন হয়, সেদিকে তদারকি জোরদার করা দরকার। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
আরেকটি হলো আমাদের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম যত ভালো হবে, তত তাড়াতাড়ি বিক্রির জায়গায় চলে আসবে। তখন হয়তো এই প্রবণতাগুলো কিছুটা হলেও কমে আসবে।