‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সবার জন্য সবখানে’
আজ ৭ এপ্রিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর এই দিবস পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সবার জন্য সবখানে’।
১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম সম্মেলন হয়। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হয় ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হবে। এ বছর তাদের সত্তর বছর পূর্তি।
সাত দশক ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। মূল লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিল ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে তারা। এবার সত্তর বছর পূর্তিতে তারা সেই লক্ষ্যের কাছেই যেন ফিরে এসেছে।
উৎসাহ, প্রেরণা এবং দিকনির্দেশনা এই তিনের সমন্বয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব স্বাস্থ্য কর্মী তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য বোঝাতে চাইছে এমন একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যা প্রতিটি নাগরিকের জন্য সহজলভ্য ও সুলভ, আর্থিক অস্বচ্ছলতা যেখানে ককোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকে সহজলভ্য করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী স্বাস্থ্যসেবায়, মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা, সরকারের কৌশলগত সমস্যা, রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব সব কিছু মিলিয়ে এই সমস্যা। এই অবস্থা দূর করতে কিছু কৌশলগত পরিবর্তন জরুরি।
রিসোর্স মোবিলাইজেশন বা সম্পদের পরিবর্তিত ব্যবহার একটি কার্যকর কৌশল হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এর অর্থ এই নয় যে একটি রাষ্ট্রের অনেক সম্পদ থাকতে হবে। বরং সীমিত সম্পদের নানামুখী ব্যবহারের ভেতর দিয়ে একটি সত্যিকারের জনমুখি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশে সার্বজনীন স্বাস্থ্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সুচিকিৎসা ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। সঠিক কর্মকৌশলের ভেতর দিয়েই এর সমাধান খুঁজতে হবে।
লেখক : রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।