দূরে থাক স্নায়ুচাপ
হয়তো কোনো চাকরির সাক্ষাৎকারে গেছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ আপনাকে কীভাবে দেখছে, কী জিজ্ঞেস করবে এসব বিষয় নিয়ে বেশ ভীত বোধ করছেন। চুল ঠিক করছেন, দাঁত দিয়ে নখ কাটছেন, ঘাম বেরুচ্ছে আপনার শরীর থেকে। প্রায় সবারই কমবেশি স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে এ সময় এবং এক ধরনের চাপ অনুভূত হয়। নার্ভাসনেস বা স্নায়ুচাপের মূল কারণ মানসিক চাপ। এ কারণে কখনো কখনো আপনার নিজের ওপরই রাগ ও ক্ষোভ হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্নায়ুচাপ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া আপনার ব্যক্তিত্বকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই বিষয়টি। স্নায়ুচাপ দূর করতে আত্ম-উন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট পিক দ্য ব্রেন দিয়েছে কিছু পরামর্শ।
নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করুন
আমরা প্রায়ই সামান্য বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। যেমন- লোকে আমাকে দেখে কী ভাবছে বা নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময়ও অনেকে স্নায়ুচাপে ভোগেন। কেন আপনি ভয় পাচ্ছেন তার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করুন। শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। কথা বলার মাধ্যমে চেষ্টা করুন মানুষের সঙ্গে সহজে মেলামেশার।
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন
স্নায়ুচাপ দূর করার আরেকটি ভালো উপায় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা। কোন বিষয়টি নিয়ে আপনার স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ছে বা আপনি সন্ত্রস্ত সেটি নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি আপনি মিটিং বা সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে ভয় পান তবে সেসব জায়গায় যাওয়ার আগে বন্ধু বা বয়সে বড় কারো পরামর্শ নিন। এটি আপনাকে বাইরের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
যেই সময়টাতে সন্ত্রস্ত অনুভব করছেন, সেই সময়ে অন্য কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। নিজেকে ওই অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। অন্য কোনো কাজ বা বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিন। যেমন- গান শুনুন বা বই পড়ুন।
জানুন কী বলতে চান আপনি
যদি কোনো ভালো বক্তাকে জিজ্ঞেস করেন কীভাবে ভালো বক্তৃতা দেওয়া যায় তিনি অবশ্যই বলবেন, নিজেকে প্রস্তুত করুন। তাই প্রস্তুতি নিন কী বলতে চান এবং কীভাবে বলতে চান সেটার ওপর। যদি আপনার চাকরির সাক্ষাৎকার হয় তবে সেখানে সচরাচর কী প্রশ্ন করা হয় তা জেনে নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। নিজেকে তৈরি করুন এবং আত্মবিশ্বাসী হোন।
ইতিবাচক হোন এবং ভালোটাই আশা করুন
জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ হন। আর ভালোটাই আশা করুন। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে সাফল্য পেতে সাহায্য করবে।
নিজেকে সম্মান করুন
নিজেকে সম্মান করতে শিখুন। নিজেকে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি পোশাক-আশাকেও পরিপাটি থাকুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।