সাইনোসাইটিসের চিকিৎসায় করণীয়
সাইনোসাইটিস একটি প্রচলিত সমস্যা। এর চিকিৎসা করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মনজুরুল আলম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি ও হেডনেক সার্জারি বিভাগের ইউনিট প্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
উত্তর : একিউট (স্বল্পমেয়াদী) সাইনোসাইটিস ও ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদী) সাইনোসাইটিসকে দুই ভাগে আমরা ভাগ করি। একিউট অবস্থায় আমরা মেডিকেল চিকিৎসা দিই। অ্যান্টিবায়োটিক, এর সঙ্গে অ্যান্টি হিস্টামিন, নাকের ড্রপ দিই। মেন্থল পানিতে নিয়ে ভাপ নিতে আমরা বলি। নাক দিয়ে ভাপ নিয়ে মুখে ছাড়বে। এতে করে দেখা যায় সাত বা ১০ দিন পর প্রদাহ সেরে যায়। এর সঙ্গে ব্যথানাশক ওষুধ দিলেও, তার জ্বর কমে যায় এবং ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন : সাইনোসাইটিস বার বার হলে করণীয় কী?
উত্তর : যখন একিউট (স্বল্পমেয়াদী) বা কোনো সাইনোসাইটিস ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদী)-তে পরিণত হয়, অর্থাৎ ক্রমাগত সে অ্যালার্জির সম্মুখীন হচ্ছে বা ক্রমাগত সে ঠান্ডার সম্মুখীন হচ্ছে, কনজারভেটিভ চিকিৎসা যখন শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন হয়তো আবার সে ধূমপান বা ঠান্ডা খাওয়ার অভ্যাস করছে। ধূমপান করছে। এতে করে দেখা যায় সে আবার সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। তার হয়তো মেডিকেল চিকিৎসায় হচ্ছে না, তখন আমরা সার্জারি করি।
প্রশ্ন : সাইনোসাইটিস যাতে আবার না হয় সে জন্য পরামর্শ কী থাকে?
উত্তর : সার্জারি এখন অত্যন্ত এগিয়ে গেছে। যেমন অ্যান্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি রয়েছে। এর মাধ্যমে নাকের প্রতিটা অংশ, সাইনাসের প্রতিটা অংশ, অত্যন্ত বড় আকারে মনিটরে দেখে, পলিপ বা সাইনাসের কিছু প্রদাহ, সবকিছু বের করে নিয়ে আসি। এতে তার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব কমে যায়। এরপরও আমরা সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের বলি, সাইনোসাইটিস না কি মাইগ্রেন, না কি নিউরোলজিক্যাল ব্যথা, বা তার চোখের দৃষ্টির জন্য কোনো কিছু হচ্ছে, তাও তাদের সতর্ক থাকতে হবে। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও নিউরোজিস্টকেও তারা দেখাতে পারবে।
এরপর যদি এক্সরে ও সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় সাইনাসই আক্রান্ত হয়েছে, তখন আমরা তাকে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা দিই।