দুধ কি ওজন কমাতে কাজ করে?
দুধ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল। একে সুষম খাবারের তালিকায় রাখেন পুষ্টিবিদরা। অনেকের ধারণা, দুধ খেলে ওজন কমে। আসলে কি তাই?
এ বিষয়ে কথা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ আসলে ওজন কমাচ্ছে কীভাবে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুধ মানুষের ওজন কমাবে কি না সেটা নির্ভর করবে ডায়েটের ওপর। সাধারণত পুষ্টিবিদরা যখন রোগীর ওজন কমাই, তখন ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটের মধ্য দিয়ে ওজন কমাই। আর ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটে দুধ হলো আদর্শ একটি খাবার। তবে অবশ্যই এটি হতে হবে নন ফ্যাট।
যেহেতু আমরা বাঙালি ও নিরামিষভোজী নই, তাই সাধারণত রোগীর যখন ডায়েট প্ল্যান করি, তখন তাতে মাছ, মাংস সব কিছুই থাকে। এগুলো রান্নায় যেহেতু তেল দেওয়া হয় এবং প্রাকৃতিক চর্বি থাকে, তাই দুধের চর্বি সরালে সমস্যা নেই। লো ফ্যাট বা নন ফ্যাট দুধ রাখলে খাবারে চর্বির যে অংশ, সেটা কিছুটা কমে। নন ফ্যাট বা লো ফ্যাট দুধের সুবিধা হচ্ছে এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক ফরটিফিকেশন করা থাকে। এক গ্লাস সাধারণ দুধে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, চর্বি পাওয়া যেত, নন ফ্যাট বা লো ফ্যাট দুধে সেগুলো সবই থাকে। তবে চর্বিটা থাকে না।
এতে দুগ্ধজাত খাবার থেকে আমাদের যে পুষ্টিটা দরকার, সেটা পাওয়া যায়। দুগ্ধজাত পুষ্টি সবার জন্য জরুরি। ওজন যে কমাতে যাবে তাকে অবশ্যই নন ফ্যাট বা লো ফ্যাট দই অথবা নন ফ্যাট বা লো ফ্যাট দুধের তৈরি দই দেওয়া যেতে পারে।
তবে কেউ যদি ভেবে নেয়, শুধু লো ফ্যাট খেলেই ওজন কমবে, এটা ভুল- জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ, লো ফ্যাট দুধ খেলে ওজন কমতে সাহায্য হবে। তবে কেউ কেবল লো ফ্যাট দুধ খেল,কিন্তু ডায়েট করল না বা হাঁটল না, তাহলে লো ফ্যাট দুধ কখনো ওজন কমাবে না। তবে যারা নিরামিষভোজী তারা ডায়েট করতে গেলে সাধারণ দুধ খেতে পারবে।
সুতরাং ওজন কমাতে খাবারের নিয়ন্ত্রণ, ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ, হাঁটা- এসবের পাশাপাশি লো ফ্যাট দুধ খেতে হবে বলে পরামর্শ তাঁর।