পেটের ভুঁড়ি কমানোর সার্জারি কীভাবে করা হয়?
পেটের ভুঁড়ি বা মেদ কমানোর সার্জারিকে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি বলে। এই সার্জারি কীভাবে করা হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আহমেদ।
ডা. ইকবাল আহমেদ বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করতে গেলে প্রাথমিকভাবে রোগীদের প্রতি কী পরামর্শ থাকে?
উত্তর : তাদের একটি প্রশ্ন থাকে, এই অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করতে হলে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। এরপর, এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না, আমরা কীভাবে করব। এই প্রশ্নগুলো তাদের থাকে। এগুলোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ আলোচনা করে নিই।
অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টির দুটো অংশ রয়েছে। একটি হলো লাইপোসেকশন। এটি হলো উপরের পেটের চর্বিটা আমরা ডিভাইসের মাধ্যমে গলিয়ে নিয়ে আসি, একটি নলের মাধ্যমে। একে লাইপোসেকশন বলে। আর নিচের যে অংশটা ঝুলে গেছে সেটি আমরা কেটে ফেলি এবং পেটের মাংসের যে পর্দা, যেটি ঢিলা হয়ে গেছে, সেটি আমরা আটশাঁট করে দেই। এতে বড় জোর তিনদিন তাদের হাসপাতালে থাকতে হয়।
আবার যদি তরুণ বয়সে হয়, হয়তো রোগীর পেটে কেবল চর্বি জমেছে, সেই ক্ষেত্রে শুধু লাইপোসেকশন করি। লাইপোসেকশন করলে সে পরের দিনই চলে যেতে পারবে। সকালে করলে, বিকেলে চলে যেতে পারবে। আর যদি লাইপো অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করি, তাহলে বেশি হলে তিনদিন থাকতে হবে।