ডেঙ্গু : প্রতিরোধ ও প্রতিকার
ডেঙ্গু বর্তমানে একটি আতঙ্কের নাম। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৮০তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
এনটিভি : আজ আমাদের এনটিভির জন্মদিন। ১৭ বছরে পদার্পণ করেছি আমরা। এ উপলক্ষে আপনি কিছু বলুন।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি মনে করি, এনটিভির যে অনুষ্ঠান, তারা অত্যন্ত সফলভাবে, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। এই অনুষ্ঠান যেটি হয়, ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’, যেহেতু আমি চিকিৎসক, তাই এর ব্যাপারে খুব আগ্রহী। আমার মনে হয়, অনুষ্ঠান যেগুলো হয়, স্বাস্থ্যের ওপর যেসব আলাপ- আলোচনা হয়, এগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে কিন্তু উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে জনগণ কিন্তু অত্যন্ত উপকৃত হচ্ছে বলে আমি মনে করি। সাধারণভাবে রোগ সম্পর্কে জানানো, সচেতনতা তৈরি এ কাজগুলো সুন্দরভাবে আপনারা উপস্থাপন করতে পারছেন।
এনটিভির ১৬তম তো শেষ হলো ১৭তম জন্মদিনে পড়ল। আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, এখানকার যাঁরা কর্মকর্তা, মালিক, বিশেষ করে এনটিভিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যাঁরা আপনারা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদেরও আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
এনটিভি : আজ আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, সেটি হলো ডেঙ্গু। এ সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ যেগুলো রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো ডেঙ্গু। এ রোগটিকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : আপনি শুরুতে যেটি বললেন, ডেঙ্গু শুনলে সবাই ভয় পায়, আতঙ্কিত হয়। এটি তো বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রায় ২০০০ সালের দিলে। এ সময় এত জটিল হয়ে গেল যে মানুষ মনে হলো, ডেঙ্গু হওয়া মানে যেন মৃত্যু। আর বোধ হয় কোনো বাঁচার আশা নেই। মানুষ যতটা আতঙ্কিত হয়ে যায় বা ভয় পায় আসলে কিন্তু অত জটিল নয়। এটি যদি সময়মতো চিকিৎসা করা হয়, বলতে পারেন, ১০০ ভাগ ভালো হয়ে যাবে। এমনি যদি বিভিন্ন দেশে মৃত্যুর হার নিয়ে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে।
এনটিভি : আর ১০টি সাধারণ জ্বরের মতো এটিও তাই...
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : আসলেই তাই। এটি ভাইরাস জ্বর তো। ভাইরাস অত জটিল হয় না। যদিও অন্য ভাইরাস থেকে এটি কিন্তু আলাদা। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঝুঁকি খুব কম। বলতে গেলে, সামান্যতম। আমি বলব, এখন তো জনগণও অনেক সচেতন। দেখা যায়, রোগীরা রোগ নির্ণয় করে আমার চেম্বারে চলে আসে। সুতরাং আমি প্রথমে যেই বিষয়টিতে আস্বস্ত করতে চাচ্ছি, সেটি হলো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কিছু নেই।
এনটিভি : ডেঙ্গু নিয়ে মানুষ কেন এত ভয়ে থাকে?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : এটা কিন্তু সত্য যে মানুষ বিভ্রান্তিতেও থাকে। এর কারণ হলো, ডেঙ্গু রোগটি একটু গোলমেলে তো, এটি একটি ভাইরাস দিয়ে হয় আসলে। মানুষ ভয় পায়, এর কারণ হলো, জ্বর খুব উচ্চ মাত্রার হয়। চার, পাঁচ, ছয় এমন আমরা পাই। জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, চার-পাঁচ দিন জ্বর হওয়ার পর গায়ে র্যাশ হয়। লাল লাল অ্যালার্জির মতো বা ঘামাচির মতো হয়। বেশি সমস্যা হয় চার থেকে পাঁচ দিন পর রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়। কেউ ব্রাশ করতে দাঁতের গোঁড়ায় রক্ত আসে, পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসে। চোখের মধ্যে রক্ত জমে যায়। গায়ে থোকা থোকা রক্ত জমে যায়। মেয়েদের বেলায় বিশেষ করে আগেভাগে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়। অথবা ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেছে, আর থামছে না, এ রকম কিন্তু হয়। আসলে একে বলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিবার। এটি কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা। এ ধরনের কিছু কিছু রোগীর হয়তো রক্তক্ষরণ হলো, ভেতরে হয়, বোঝা যায় না, শকে চলে যায়। অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। পালস কমে যায়, ব্লাডপ্রেশার পাওয়া যায় না, প্রস্রাব হয় না। একে বলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এটি ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভয়াবহতম অবস্থা। খুব অল্প হয়। এটি প্রচলিত নয়। মানুষ আসলে একেই ভয় পায়। একবার হয়ে গেলে বদলানো খুব কঠিন। তখন সাহায্যকারী চিকিৎসা দিতে হয়।
এনটিভি : ডেঙ্গু ও ভাইরাস জ্বরের পার্থক্য কী আসলেই করা যায়?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করে। অনেকের জানাও দরকার। ডেঙ্গু ভাইরাস ও অন্যান্য ভাইরাসের লক্ষণ একই রকম। যেমন বললাম, জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা। যেকোনো ভাইরাস জ্বর কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন পর এমনিতেই চলে যায়। ডেঙ্গুতে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন : গায়ে র্যাশ ওঠে, এর আগে বলি এ জ্বরের সঙ্গে শরীরে ব্যথা হয়। জয়েন্ট ব্যথা হয় ও তীব্র ব্যথা হয়। একে বলে ব্রেক বোন ফিবার। মানে হাড় ভাঙা জ্বর। অন্যান্য ভাইরাসে কিন্তু এতটা হয় না। গায়ে র্যাশ যেগুলো পাই, এগুলো বেশি হয় ডেঙ্গু জ্বরে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বরেও হয়, তবে কম পরিমাণে। এটি দেখেই আমরা বুঝতে পারি, এটি সাধারণ ভাইরাস নয় ডেঙ্গু ভাইরাস। আরেকটি হলো, চার থেকে পাঁচ দিন পর আপনি যদি সিবিসি করেন, এটা কমে আসবে। অন্যান্য ভাইরাসে কিন্তু কমে না। কমলেও সামান্য একটু কমে। এক লাখের নিচে কিন্তু আসে না। এগুলো দেখে কিন্তু আমরা নিশ্চিত হতে পারি।
এনটিভি : ডেঙ্গুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা কখন করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : এটি ভাইরাস তো, পরীক্ষা কিন্তু বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। লক্ষণ দেখলে আমরা রোগ নির্ণয় করতে পারি। যেকোনো চিকিৎসকই করতে পারে, এমনকি অনেক সময় রোগীরাও করে বসে। যখন ২০০০ সালে হয়েছে, তখন সবাই ভয় পেয়ে যেত। এখন আমরা করতে পারি ডেঙ্গু এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন। এটি করলে এক থেকে দুদিনেই বোঝা যায়। সুতরাং কারো সন্দেহ জলে এই পরীক্ষাটা সহজেই করে নিতে পারে। কারো এটি অবহেলা করা উচিত নয়।
আরেকটি যেটি, আমরা বললাম যে রক্তে সিবিসি, প্লাটিলেট করি। এটি চার থেকে পাঁচ দিন আগে করা উচিত নয়। কারণ, প্রথম দিকে করলে মিসগাইড হয়। যদি দুই দিনের জ্বরে করেন প্রতিবেদন কিন্তু স্বাভাবিক চলে আসছে। রোগী মনে করে আমি তো ভালোই আছি। চিকিৎসক যদি খেয়াল না করে সেও মনে করতে পারে সবকিছু ঠিক রয়েছে। আসলে কিন্তু তা নয়। চার থেকে পাঁচ দিন পর প্লাটিলেটটা কমে। ওই সময় করলে আপনি বুঝবেন প্লাটিলেট কমবে কি না।
পাঁচ দিন পর কিন্তু প্লাটিলেট কমতে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা একে বলি ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড। এই অবস্থাটি কিন্তু জটিল। কারণ, জ্বর চলে গেল রোগী মনে করল, আমি তো ভালো আছি। যত অঘটন ঘটে সেগুলো কিন্তু এ সময়।
এনটিভি : কী করণীয় তখন ?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : আমি এটিই বোঝাচ্ছি, কেউ যেন এ সময়টিকে অবহেলা না করে। চার থেকে পাঁচ দিন গেল জ্বর চলে গেল। আপনি মনে করতে পারেন, ভালো তো হয়ে গেলাম। না এটি করবেন না। ব্যবস্থা নিতে হবে। রক্ত পরীক্ষা করাবেন। যদি প্লাটিলেট আসলেই কমে যায়, বেশি কমলে তো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এ সময় খেয়াল রাখতে হবে কোথাও রক্তপাত হয় কি না, হলেতো ঘরে বসে থাকা যাবে না। আমরা খবর পেলাম এর মধ্যে দুই থেকে তিন জন মারা গেছেন। এটি কিন্তু সেই কারণেই। সময়মতো চিকিৎসা নিলে কিন্তু এ অঘটনটা ঘটত না।
আমি জোর দিচ্ছি এ কারণে যে যেহেতু বর্তমানে ডেঙ্গুর মৌসুম, আমাদের প্রচুর ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। কেউ যেন অবহেলা না করে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা, বয়স্ক মানুষ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। আমি অনেক রোগী পাচ্ছি গর্ভধারণ করেছে। তাদের জন্য কিন্তু এটি ঝুঁকিপূর্ণ। সহজ একটি রক্ত পরীক্ষা করলে কিন্তু এটি ধরা যায়।
এনটিভি : রোগী ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে চলে যাচ্ছে, এটি বোঝার উপায় কী?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : প্রথম কথা হলো, কোথাও রক্তক্ষরণ হতে পারে। বাইরে থেকে যদি রক্তক্ষরণ হয়, তাহলেতো দেখতেই পারবেন। আমাদের সমস্যা হলো অভ্যন্তরীণ রক্তপাত। এটি তো বোঝার উপায় নেই। এ জন্য বলছি, চিকিৎসককে অবশ্যই দেখাবেন। চিকিৎসক চেক করে তাকে সহজেই বলে দেবেন। পালস পাওয়াই যাচ্ছে না, খুব কম। ব্লাড প্রেশার রেকর্ড করা যাচ্ছে না। খেতে পারছে না, প্রস্রাব হচ্ছে না।
প্রথম দিকে সে যদি যায়, এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন করলেই পজিটিভ আসবে। চার থেকে পাঁচ দিনের দিন যদি সিবিসি করে, তাহলে প্লাটিলেট ধরা যাবে। প্লাটিলেট যদি অল্প হয়েই যায়, তাহলে চিকিৎসা নেবেন। তখন ঝুঁকিটাতো এড়ানো সম্ভব। কিন্তু আপনি একা বসে থাকলে তো বুঝতে পারবেন না। চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দেবে। অথবা কিছু ক্রাইটেরিয়া রয়েছে, কী কারণে রোগীদের হাসপাতালে যাওয়া উচিত, রোগী যদি খারাপ হয়, তাহলে ভর্তি হতে বলবেন। হাসপাতালে গেলে তো চিকিৎসা দেবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তো অপেক্ষা করা উচিত হবে না। যে দুই/ একজন রোগী মারা যায় তারা কিন্তু ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়ে মারা যায়। মারা যাবে এটি কিন্তু নয়। কিন্তু ঝুঁকি তো রয়েছে।
যেহেতু এটি ভাইরাস, নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, সাহায্যকারী চিকিৎসা, তাই এ ধরনের চিকিৎসা দিয়ে দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। ওই পর্যন্ত না গেলেই ভালো।
এনটিভি : সাধারণ ডেঙ্গু যাদের হয়, তাদের ক্ষেত্রে কী পরামর্শ দেবেন?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : তাদের চিকিৎসা ও যত্নটা একই রকম। এমনকি যাদের প্রথমবার অ্যাটাক হয়, তাদের খুব কিন্তু জটিল হয় না। চিকিৎসককে একটু খেয়াল করতে হবে রোগ যেন জটিল না হয়। ডেঙ্গু যেন অবহেলা না করে, এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি আমি।
এনটিভি : ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী করতে হবে?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : প্রথম কথা হলো, নিজের নিরাপত্তার জন্য, মশা যেন কামড় না দেয়, এ বিষয়ে খেয়াল করতে হবে। এ জন্য আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন এ মশা কিন্তু দিনে কামড়ায়। রাতে কামড়াতে পারে যদি উজ্জ্বল আলো থাকে। তখন কামড়াতে পারে। সুতরাং খেয়াল রাখতে হবে, এ বিষয়ে। এ জন্য দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে নেবেন, ঘরে স্প্রে দিতে পারে।
অনেক বাচ্চা স্কুলে হাফ প্যান্ট পরে যায়। স্কুলে কিন্তু কামড়াতেই পারে। ফুল প্যান্ট পরবে যেন মশা পায়ে কামড়াতে না পারে। এগুলো হলো ব্যক্তিগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
আর দ্বিতীয় হলো, আপনার ঘর। এটিকে কিন্তু নিজেই পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বচ্ছ বা পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গু বেশি হয়। তাই খেয়াল করতে হবে তিন থেকে পাঁচ দিন যেন কোনো জমা পানি না থাকে। এমনকি বাথরুমে তো বালতিতে পানি থাকে। সেটিও কিন্তু তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি রাখা যাবে না। পাত্রটা কিন্তু ঘষে পরিষ্কার করলে ভালো হয় । ছাদেও তো গাছের চাষ করেন অনেকে সেখানে যেন পানি না জমে থাকে। যেমন ধরুন, ডাবের খোসা, পানি জমলেই এর মধ্যে ডেঙ্গু হতে হবে।
এনটিভির : ডেঙ্গুর কি ভ্যাকসিন রয়েছে?
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ : আসলে এটি জানা দরকার সবারই। এখন পর্যন্ত খুব সফল ভ্যাকসিন কিন্তু বের হয়নি। চেষ্টা চলছে। এখন বলা যেতে পারে কেন হল না? ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাস থাকে। ডেন ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর। একটি কামড় দিয়ে কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে সেটি থেকে সুরক্ষা পায়। তাই, এমন ভ্যাক্সিন হতে হবে যেন চারটির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। ওই রকম ভ্যাক্সিন কিন্তু বাজারে এখনো আসেনি। কোনো কোনো জায়গায় সফল হয়েছে। তবে একটি দিয়ে চারটি প্রতিরোধ করা যায়, এমন এখনও পাওয়া যায়নি। মশার কামড় থেকে আসলে বাঁচতে হবে আপনাকেই।