শ্বেতী রোগের চিকিৎসায় কখন সার্জারি করবেন?
শ্বেতী রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে সার্জারি করা হয়। তবে কখন এই সার্জারি করা যায়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৬৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মাসুদা খাতুন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সার্জারি করার ক্ষেত্রে, রোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনারা কোন কোন বিষয় দেখেন?
উত্তর : রোগী নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সার্জারি কিন্তু সবার জন্য করা যাবে না। শ্বেতী রোগটি আসলে এমন, একটি নদীর এক পার গড়ে, আরেক পার ভাঙে। একদিকে মেলানোসাইট ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আরেক দিকে নতুন করে তৈরি হবে। বাড়বে-কমবে এভাবে হতে থাকবে। তবে যখন আমরা সার্জারির জন্য নির্বাচন করব, তখন কিন্তু তার নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকতে হবে। রোগী দুই বছর দেখবে যে তার আর বাড়ছে না বা কমছে না। যেই জায়গাগুলো সাদা সেগুলো নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। ওটা বাড়ছেও না বা কমছেও না।
আমরা রোগীকে বলি, ‘আপনার তো বাড়ছে, এ সময় কিন্তু সার্জারি করা যাবে না।’ কারণ, সার্জারি বা যেকোনো ইনজুরি করলে অসুবিধা। তাই যখন লেশনগুলো নির্দিষ্ট হয়ে যাবে, তখন সার্জারি করতে হবে।
প্রশ্ন : যাদের ক্ষেত্রে সার্জারি করতে পারেন না, তাদের বেলায় কী করেন?
উত্তর : তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাওয়াই। ব্লাডপ্রেশার বা ডায়াবেটিস চেক করে দীর্ঘ সময় ধরে দিলে রোগী ঠিক হয়।