টনসিল ও এডিনয়েডের চিকিৎসা না করলে কী ক্ষতি হয়?
টনসিল ও এডিনয়েডের সমস্যায় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করার পরও অনেক সময় সার্জারি করতে হয়। আর এতে ভয় পেয়ে যান অনেকেই। তবে চিকিৎসা ঠিক সময় না করলে জটিলতা অনেক বাড়ে।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৩৭৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক খবির উদ্দিন আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : এ জাতীয় সার্জারির প্রতি অনাগ্রহী থাকেন অনেক মা-বাবা। সে ক্ষেত্রে তাঁদের কী ধরনের পরামর্শ দিয়ে আশ্বস্ত করেন?
উত্তর : সার্জারির প্রতি সবারই ভয় থাকে। সার্জারি আসলেই একটি ভীতিকর বিষয়। সে ক্ষেত্রে আমরা মা-বাবাকে বুঝিয়ে বলি। এটা খুব নিরাপদ অস্ত্রোপচার। সাধারণত আধা ঘণ্টার বেশি লাগে না। যদি অস্ত্রোপচার না করান, ক্রনিক হাইপোক্সিয়া হয়ে মস্তিষ্ক ভোতা হয়ে যাবে। স্কুলে খারাপ করবে, কানে শুনবে না। একটি সামাজিক বোঝা হয়ে থাকবে। এটি সহজ অস্ত্রোপচার, জটিলতা কম। আমার মনে হয়, বুঝিয়ে বলতে পারলে অভিভাবকরা সাধারণত না করেন না।
প্রশ্ন : সার্জারি সফল হলে কি রোগী পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়?
উত্তর : একদম শতভাগ ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন : সার্জারির পর আপনাদের পরামর্শ কী থাকে?
উত্তর : ঠান্ডা পানীয় খাবে না। অনেক বাচ্চা ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করে। সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আইসক্রিম খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। ঠান্ডা-সর্দি লাগলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তাহলেই ভালো থাকবে।
প্রশ্ন : সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে কী কী ঝুঁকি হতে পারে?
উত্তর : সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে মস্তিষ্ক ভোতা হয়ে যেতে পারে। স্কুলের পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারে। কানে কম শোনার সমস্যা হতে পারে। এগুলোর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণে মস্তিষ্ক ভোতা হয়, কানে কম শোনে। এডিনয়েড বড় হলে শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়। বাচ্চারা আর নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারে না। রাতে স্লিপ এপনিয়া হয়। ঘুমের ঘোরে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ক্রনিক হাইপোক্সিয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হয়।