বর্ষায় মধু খান!
মধুকে তরল স্বর্ণ বলা হয়। আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি বড় অংশ মধু। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটি সারা বছরই খাওয়া যায়।
তবে এই বর্ষায় সুস্থ থাকতে মধু নিয়মিত খেতে পারেন। বর্ষার বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে সুরক্ষা দিতে মধু বেশ উপকারী।
বর্ষাকালে অনেকে ভাইরাসজনিত সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাক্রোবিয়াল উপাদান। এগুলো বর্ষায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
জীবনধারা বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. ঠান্ডা কাশির সঙ্গে লড়াই করে
ভাইরাসের সংক্রমণে ঠান্ডা ও কাশি হওয়া এই বর্ষার একটি প্রচলিত সমস্যা। মধু গলার স্পর্শকাতরতা কমায়। মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ দূর করে। এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এক কাপ গরম পানির মধ্যে মিশিয়ে খান। এতে ঠান্ডা কাশি কমবে।
২. পাকস্থলীর সংক্রমণ কমাতে
পাকস্থলীর সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং বর্ষায় খুব প্রচলিত সমস্যা। যারা নিয়মিত জাংক ফুড খায়, তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মধুর মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিক। এটি ভালো ব্যাকটেরিয়া। এটি এসব সমস্যা কমায়। তাই প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খান।
৩. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
মধুর মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ কমায়। এক টেবিল চামচ মধু, এক চা চামচ আদার রস এবং লেবুর রস গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এটি এই বর্ষায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াবে।
৪. ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ দূর করে
মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধেও কাজ করে। কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।