গলগণ্ড রোগের সার্জারি কখন করতে হয়?
অনেকের ক্ষেত্রে গলগণ্ড রোগ হতে দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৯৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আবদুস সাত্তার। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক-কান-গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : মাল্টিনুডুলার গয়টার, একে বাংলায় গলগণ্ড বা ঘ্যাগ বলে থাকি। এই রোগটিতে মানুষ আক্রান্ত হয় কেন?
উত্তর : যেটা বিনাইন অথবা ক্যানসার নয়, এ ধরনের যে ঘ্যাগ সাধারণত আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে। আর যেগুলো ক্যানসার এগুলোর ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, আগে সে কখনো হয়তো রেডিয়েশন পেয়েছিল। অথবা পুরোনো যে এক্স-রে মেশিনগুলো আছে, এগুলো দিয়ে কোনো কারণে এক্সপোজ হয়েছিল। অথবা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এখন পারমাণবিক দুর্ঘটনা, যেমন—চেরোনোবিল হলো, জাপানে সুনামির কারণে দুর্ঘটনা হলো, এগুলো একটি বড় সমস্যা। বলা হয় যে এগুলোর ২০০ মাইলের মধ্যে যারা আছে, তাদের থাইরয়েড ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া থাইরয়েডের যে জিনগত বিষয়, সেখানে কোনো জিনের পরিবর্তন হলে থাইরয়েড ক্যানসার হতে পারে।
প্রশ্ন : মাল্টিনুডুলার গয়টার বা গলগণ্ডের ক্ষেত্রে একজন রোগীর কখন সার্জারি করা উচিত? আর যদি না করে কী ক্ষতি হতে পারে? আর কোন কোন ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়?
উত্তর : সাধারণত বলা হয় যে ১০ জনের ভেতর একজনের ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে এ ক্ষেত্রে। তো বাকি নয়জনকে অস্ত্রোপচার করার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা আছে। সে খাদ্যনালি ও শ্বাসনালির ওপর চাপ দিচ্ছে। দুই নম্বর হলো ঝুঁকিটা কাদের বেশি, সে হিসেবে আমরা ভাগ করি। পুরুষদের বেশি হতে পারে। কোনো কারণে গলায় ফোলা আছে, পাশে হয়তো লিম্ফনোট ফুলে আছে। কোনো কারণে হয়তো গলায় ফোলা আছে, কণ্ঠস্বর বসে যাচ্ছে। কোনো কারণে গলায় ফোলা আছে, খেতে হয়তো কষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের কিছু ঝুঁকি যাদের বেশি হয়, যাদের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাদের আমরা অস্ত্রোপচারের জন্য পরামর্শ দিই।
আর যাদের ক্যানসার হয়ে গেছে, তাদের জন্য অস্ত্রোপচারই হলো প্রধানতম চিকিৎসা।