হৃৎপিণ্ড ছিদ্রের চিকিৎসা কী?
হৃৎপিণ্ডের ছিদ্র একটি জন্মগত সমস্যা। এর চিকিৎসা করা জরুরি। নয়তো শিশু বড় হতে থাকলে জটিলতা বাড়তে থাকবে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫০৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : হৃদরোগে ছিদ্র রয়েছে, এটি আপনারা নিশ্চিত হোন কীভাবে?
উত্তর : আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হই ইকোকার্ডিওগ্রামের মাধ্যমে। ইকোকার্ডিওগ্রাম করলে এটি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে যেটা বলছিলাম, কিছু পরিবর্তন হয়।
এটা অস্ত্রোপচার করা সম্ভব কি সম্ভব নয়, এটি বোঝার জন্য অনেক সময় কার্ডিয়াক ক্যাথ করার প্রয়োজন পড়ে। যদি খুব বেশি পরিবর্তন হয়ে যায় ফুসফুসের, এটি খারাপ হয়ে যাবে। সে জন্য এটি করে আমরা নিশ্চিত হয়ে নিই। তবে সাধারণত এক বছরের মধ্যে পালমোনারি হাইপারটেনশন বৃদ্ধি পায় না। এএসডির ক্ষেত্রেও অনেক সময় পাঁচ-ছয় বছর পর্যন্ত সমস্যা হয় না। এর পর যদি আমরা লক্ষণ দেখি, আমরা কার্ডিয়াক ক্যাথ করে একে নিশ্চিত করে নিই।
ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি আমি যাই, মেডিকেল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হার্টের চাপ কমিয়ে রাখি। ছোট ফুটোগুলো অনেক সময় নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নয়তো মেডিকেল ব্যবস্থাপনায় এটি বন্ধ হবে না।
প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নারীরা যখন বাচ্চা নেবে, তখন সমস্যা হবে। ভারী কাজ করতে গেলে সমস্যা হবে। যখনই এই ছিদ্রগুলো থাকবে, এটি বন্ধ করতে হবে। মূলত আমরা সার্জারির মাধ্যমে এটি বন্ধ করি। সার্জারির মাধ্যমে শতভাগ সফলতা এখানে আছে। আপনি জেনে খুশি হবেন, এসব সার্জারির ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই বললেই চলে। ১০ ভাগের মধ্যে ৯ ভাগের ওপরে এর সফলতা। তাই এটি একটি ভালো খবর। আমাদের আরেকটি বিষয় এখানে তৈরি হয়েছে—ডিভাইজ ক্লোজার। কার্ডিয়াক ক্যাথের মাধ্যমে এটি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়াও এটি বন্ধ করে দেয়।
প্রশ্ন : অস্ত্রোপচারের পর কী করার থাকে শিশুটির ক্ষেত্রে?
উত্তর : যদি অন্য কোনো সমস্যা তৈরি না হয়, জটিলতা বৃদ্ধি না করে, এই এএসডি বা ভিএসডির ক্ষেত্রে ঠিক করার পর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি বাচ্চা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সে জীবনযাপন করবে।
এ ছাড়া কোনো জটিলতা বৃদ্ধি পায় কি না, সে জন্য আমরা ফলোআপে রাখব। অনেক সময় রোগীদের অস্ত্রোপচারের আগেই কিছু জটিলতা তৈরি হয়।