বাতজ্বরজনিত হৃদরোগের চিকিৎসা কী
বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ বেশ জটিল সমস্যা। সময়মতো এর চিকিৎসা করা জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫১১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নূর আলম। বর্তমানে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : বাতজ্বরজনিত হৃদরোগের চিকিৎসা কী।
উত্তর : চিকিৎসার কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যেমন মেডিকেল ব্যবস্থাপনা, যেখানে ওষুধের মাধ্যমে কিছু চিকিৎসা করা হবে। এরপর কতটুকু সে আক্রান্ত হয়েছে। তার বাতজ্বরজনিত হৃদরোগের মাত্রাটি কতটুকু, ভাল্ভ কতটুকু আক্রান্ত হয়েছে, সেটা যদি খুব বেশি হয় যে তার কাজকর্ম শুরু হয়েছে এবং ভাল্ভও অনেক বেশি সংকুচিত হয়েছে। তাহলে সেভাবে তার চিকিৎসা রয়েছে। পিডিএমসি বলি আমরা, বেলুন ফুলানো নামে অনেকেই জেনে থাকবেন। বেলুন ফুলিয়ে সেই সংকুচিত ভাল্ভকে প্রসারিত করে দেওয়া যায়। আবার অনেক সময় এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে যে বেলুন ফুলানোর মতো অবস্থায় নেই। তখন তো ভাল্ভ প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার যেটা সেটা করতে হয়। সর্বোপরি তাকে মেডিকেল ব্যবস্থাপনা, অথবা ভাল্ভ ফুলানো অথবা প্রয়োজন হলে ভাল্ভ প্রতিস্থাপনে যেতে হবে।
প্রশ্ন : বাতজ্বরের চিকিৎসা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়। ওষুধ খাওয়ার কিছুদিন পর যদি কেউ মনে করে আমার তো আর জ্বর আসছে না, মাঝপথে যদি চিকিৎসা বন্ধ করে দেয় তাহলে কী করতে হবে?
উত্তর : একটি জিনিস ঠিকই বলেছেন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, যেই সংক্রমণের কারণে বাতজ্বর হয়েছিল, সেটি যাতে না হয়, এর জন্য প্রতিরোধব্যবস্থা নিতে হবে। প্যানিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক অনেকেই দেয়। এসব ওষুধ মুখে খাওয়া যেতে পারে, ইনজেকশন আকারেও নেওয়া যেতে পারে। ওষুধ খেলে সাধারণত আমরা দুই বেলা ওষুধ দিই সকালে ও বিকেলে। ইনজেকশন নিলে প্রতি দুদিন পরপর দিই। সাধারণত বলা হয় যে ২২ বা ২৩ বছর পর্যন্ত ওষুধটা চালিয়ে যেতে হবে। অথবা কারো যদি বাতজ্বরের একিউট আক্রমণ হয়ে থাকে, এটি পাঁচ বছর পর্যন্ত নিয়মিত করতে হবে। মাঝপথে থামিয়ে দিলে ওই সংক্রমণ যদি আবার হয়, তাহলে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে।অস্ত্রোপচার করার পরও বাতজ্বরেও প্রতিরোধের যেই চিকিৎসা সেটা সারা জীবন খেয়ে যেতে হয়।