গাইনোকোলজির কোন কোন বিষয়ে ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি করা যায়?
গাইনোকোলজির বিভিন্ন সমস্যায় এখন অ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারি করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫১২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ফারজানা রহমান ডালিয়া। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : গাইনোকোলজির সাথে অ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারির সম্পর্ক কী?
উত্তর : গাইনিতে ৮০ ভাগ সার্জারি অ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে করা সম্ভব। আর অ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারিতে খুব ছোট কিছু ছিদ্র দিয়ে বা ইনসিশন দিয়ে বা শরীরে যে প্রাকৃতিক ফুটোগুলো রয়েছে, এর মাধ্যমে করছি, ক্যামেরা ঢুকিয়ে। গাইনিতে সাধারণত দুটো ভাগে আমরা অ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারি করে থাকি। একটি ল্যাপারেস্কোপিক সার্জারি, আরেকটি হলো হিস্টোরোপিক সার্জারি। এই ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি প্রথমে উদ্ভাবন করা হয়েছিল গাইনোকোলোজিক্যাল সার্জারির মাধ্যমেই। এখন আমাদের দেশে বিষয়টি অনেক শুরু হয়েছে।
ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি দুইভাবে করা হয়। প্রথমেই হলো রোগটির কারণ নির্ণয় করার জন্য। এরপরই হলো চিকিৎসার জন্য।
বন্ধ্যাত্ব হলে সেই ক্ষেত্রে একটি রোগীর টিউবটি খোলা আছে কি না সেটা দেখার জন্য পরীক্ষা করা হয় ল্যাপারেস্কোপির মাধ্যমে।
লাইগেশন যদি বলি দুটো ফুটোর মাধ্যমে একটি দিয়ে ক্যামেরা ঢুকিয়ে, দুই পাশে দুটো ফুটো দিয়ে খুব নিখুঁতভাবে করা সম্ভব। একদমই রোগীকে কষ্ট না দিয়ে।
ওভারিয়ান সিস্ট অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে করা হয়। আর অ্যান্ডোমেট্রোসিস, চকোলেট সিস্টের ক্ষেত্রে ভিতরে এত এডিশন অনেক সময় লেগে থাকে তখন দেখা যায় বাচ্চা হতে চায় না, সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ল্যাপারোস্কোপি করে একেবারে সেটা সুন্দরভাবে ঠিক করে দিলে আবার গর্ভধারণ করা যায়।
এ ছাড়া দেখা যায়, অনেক সময় ফাইব্রয়েড যে বড় বড় টিউমার আছে, জরায়ুর টিউমার রয়েছে এগুলোর অস্ত্রোপচার ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে সম্ভব।