অ্যানাল ফিসারের চিকিৎসা কী
অ্যানাল ফিসার বা মলদ্বার চিরে যাওয়া রোগের চিকিৎসা খুব জরুরি। অনেক সময় রোগ জটিল হয়ে সার্জারিরও প্রয়োজন হয়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫২৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আহম্মেদ-উজ-জামান। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মলদ্বার চিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল চিকিৎসাটা কখন দরকার পড়ে?
উত্তর : মূলত যখন আমরা দেখি যে অ্যানাল ফিসটা বড় হয়ে গেছে, বড় আকৃতির চিরে গেছে বা মলদ্বারের ভেতর অনেক জায়গা পর্যন্ত চিরে গেছে। এই একটা বিষয়ে রোগের শুরুতে বা প্রাথমিকভাবে আমরা চিকিৎসা করে থাকি। আমরা অ্যাকিউট অ্যানাল ফিসার বলে থাকি। সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন : অস্ত্রোপচারের পর আপনাদের পরামর্শ কী থাকে?
উত্তর : এখানে মলদ্বারকে কিছুটা ঢিলা করে দেওয়া হয়। কিছুটা প্রসারিত করে দেওয়া হয়। যদি যথাযথভাবে এই প্রসারণ প্রক্রিয়াটা হয়, সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পরে কোনো সমস্যা হয় না। মলদ্বার পরে আর চিরে যায় না। এ ছাড়া আমরা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী মাস দুই-তিনেক বলি যে পায়খানা যেন নরম থাকে। আমরা ওষুধও দিই। এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন এনেও যাতে পায়খানাটা নরম হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
প্রশ্ন : এ জাতীয় সমস্যায় অনেকে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে অপচিকিৎসকের কাছে যান। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি কতটুকু জটিল হতে পারে?
উত্তর : অনেকেই তাদের জ্ঞানের অভাবের কারণে স্থানীয় চিকিৎসক বা কবিরাজের কাছ যান। মূলত তাদের কাছে যাওয়ার কারণে রোগের যথাযথ চিকিৎসা হয় না। এতে তারা একসময় আরো জটিলতা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। দেখা গেল, অ্যানাল ফিসার হলো, কিন্তু বাজে ওষুধ ব্যবহারের কারণে ওইখানে হয়তো আলসার হয়ে গেল। এটা রোগীর জন্য যতটা ভালো, তার চেয়ে বেশি খারাপ। তখন এর চিকিৎসাও আরো জটিল হয়ে যায়।