লিভারের রোগ প্রতিরোধে পরামর্শ
লিভারের বিভিন্ন রোগ রয়েছে। এগুলো প্রতিরোধে সচেতন থাকা জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৩৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. বিধান সি দাস। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : এসব রোগীর ক্ষেত্রে আপনার কী কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর : আমাদের প্রধান যে সমস্যা হলো হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, সি ভাইরাস। তরুণ যারা বিদেশে যেতে চায়, বি ভাইরাস বা সি ভাইরাস যদি পজিটিভ থাকে তাহলে তাদের ভিসা দেওয়া হয় না। এগুলো এক রোগীর কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যেতে পারে। সেজন্য একটি অংশ থাকে, এসব রোগাক্রান্ত রোগীকে যদি আমাদের দেশে পাঠানো হয়, তাহলে ওরা ছড়াতে পারে।এসব রোগ প্রতিরোধে কিছু প্রতিষেধক আছে। বিশেষ করে বি ভাইরাস। প্রতিষেধকগুলো নিতে হবে।
মায়ের যদি ভাইরাস থাকে বি ভাইরাস, সি ভাইরাস তাদের বাচ্চাদের মধ্যে যেতে পারে। বাচ্চা হওয়ার পরপর একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়, সেই ক্ষেত্রে বাচ্চাও রক্ষা পায় বি ভাইরাস থেকে।
আরেকটি হলো যারা একটু স্পর্শকাতর কাজ করে, তারা ডাক্তার নার্স তারা সুইয়ের খোঁচা খেতে পারে। এক সিরিঞ্জ যারা বার বার শেয়ার করে, বিশেষ করে মাদক নেয় যারা, তাদের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হতে পারে।সেক্সুয়াল ট্রান্সমিশনের মধ্য দিয়ে অনেক সময় হতে পারে।
আরেকটি বিষয় হলো আমরা ছেলেরা বিশেষ করে যখন স্যালুনে যাই, এক ব্ল্যাড দিয়ে যদি বিভিন্ন লোকের কাজ করা হয়, সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরেকটি বিষয় হলো এন্ডোস্কোপি, আমাদের চিকিৎসকরা যখন এন্ডোস্কোপি করেন, সেগুলোর মধ্য দিয়েও কিন্তু রোগ ছড়াতে পারে। এন্ডোস্কোপি বা ল্যাপারেস্কোপির মধ্যে যে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করি, সেগুলো যদি ভালোভাবে পরিশোধিত না হয়, আবার দন্ত্য চিকিৎসকদের যন্ত্রপাতিগুলোও যদি পরিশোধিত না হয়, তাহলে এই ভাইরাসগুলো একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যেতে পারে। এই ভাইরাসগুলো খুব দুর্বল স্বভাবের ভাইরাস। এগুলো একটু তাপ দিলে মরে যায়। সেজন্য আমরা যে এন্ডোস্কোপি করব সেগুলো ভালোভাবে পরিশোধিত করা দরকার। এটা এখন গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় করা হচ্ছে।