কোমর ব্যথার চিকিৎসা কী?
স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যথা দুটোর ক্ষেত্রেই চিকিৎসা রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৪৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শামিম আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোমর ব্যথার চিকিৎসার কী কী সুযোগ আছে?
উত্তর : একিউট (স্বল্পমেয়াদি) লো ব্যাকপেইনের ক্ষেত্রে আমরা রোগীকে শুধু ব্যথার ওষুধ দেবো। ব্যথার ওষুধটি চার বা ছয় ঘণ্টা পর সব সময় আপনাকে খেতে হবে। অনেক সময় চিকিৎসকরা বলেন, ব্যথা হলে খাবেন। আসলে এভাবে ওষুধ কাজ করে না। অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ তাঁকে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে। আর অনেক সময় যদি ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদি) লো ব্যাকপেইন হয়, সে ক্ষেত্রে আসলে ব্যথার ওষুধে খুব একটা কাজ করে না। অনেক সময় এ ক্ষেত্রে মানসিক বিষয় কাজ করতে পারে, অনেক সময় রোগীর বিষণ্ণতা থাকতে পারে, অনেক সময় উদ্বেগ থাকতে পারে, অনেক সময় চাকরিতে অসুবিধা থাকতে পারে, অনেকের অসুস্থ ব্যবহার আছে, যতটা সে অসুস্থ তার চেয়ে বেশি অসুস্থ নিজেকে মনে করছে—এই কারণগুলো যদি আমরা আসলে ধরতে না পারি, সে ক্ষেত্রে ক্রনিক লো ব্যাকপেইনকে ব্যথার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যাবে না। আর একিউট লো ব্যাকপেইনের ক্ষেত্রে যেটা হয়, আমরা তাকে ব্যথার ওষুধ দিচ্ছি, বিশ্রাম নিতে তিন থেকে পাঁচ দিন হয়তো বলি। আর ক্রনিক লো ব্যাকপেইনের ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ দিতে হবে। মানসিক বিষয়গুলোর চিকিৎসা করতে হবে। এর পাশাপাশি রোগীকে ব্যায়ামের জন্য বলতে হবে।
প্রশ্ন : কী ধরনের ব্যায়াম করবে?
উত্তর : যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করতে পারে। প্রথম কথা হলো, সে তার জীবনযাপনের ধরন ঠিক করবে। যদি বসে কাজ করে, মেরুদণ্ড সব সময় সোজা করে বসতে হবে। আর স্ট্রেনিং, স্ট্রেংদেনিং, অ্যারোবিক ব্যায়াম করতে পারে। ফিজিওথেরাপিও করতে হবে।