ব্রণ হলে চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন?
ব্রণ হলে সেটি ঘরে বসেই ঠিক করবেন না কি চিকিৎসকের কাছে যাবেন, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন অনেকে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৪৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শারমিন সুলতানা। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌন বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : ব্রণ হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : খুব হালকা পরিমাণে থাকলে এটি কোনো সমস্যা নয়। সাধারণত দেখা যায় এটা ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সে শুরু হয়। ৩০-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো মানুষের যেকোনো বয়সে হতে পারে। যদি অল্প থাকে এটি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। যখন এটা দেখতে খারাপ লাগবে, নিয়মিত জীবনযাপনকে ব্যহত করে। এক জায়গায় গেলে সোশ্যাল একটি সমস্যা হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
আমরা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের আমরা ব্রণের জন্য বিশেষ ধরনের সাবান আছে, সেগুলো দেই বা সাধারণত সাবান দিয়ে দিনে এক থেকে দুইবার বাইরে থেকে আসার পর মুখ ধুতে বলি।
তারপর অনেকের দেখা যায় কালো দাগ থাকে। এতে কয়েকটা সমস্যা হয়। দেখা যায় কালো দাগ পড়ে যায়, ব্রণগুলো উঁচু উঁচু হয়ে ফুলে ফুলে থাকে। এসব জিনিস কমাতে হবে। এই জন্য আমরা তাদের রেটিনয়েড জাতীয় ক্রিম বা জেল দেই। কালো দাগের সাথে ফোলা দেখতে বাজে দেখা যায়, সেই ক্ষেত্রে আমরা তাদের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকি। আর যখন দেখি বেশি মাত্রায় শুরু হয়ে গেছে, তখন পাশাপাশি খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেই।
ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করতে হয়। সাধারণত ছয় মাস লাগে। তবে অনেকের এর আগেও হয়ে যায়। আমাদের লক্ষ্য থাকে কারণ দূর করে ত্বককে সুন্দর করে দেওয়া। এতে কালোভাব চলে যাবে। ফোলাভাব চলে যাবে। মুখটা সতেজ লাগবে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্রণ যখন থাকে অবচেতন মনে খুঁটতে থাকে। একটু একটু তার চুলকাতে থাকে। সেসব ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্তও হয়ে যায়। সেই গর্তগুলো দেখতে খুবই বিব্রতকর। মেয়েদের ক্ষেত্রে মেকআপ করলেও ওগুলো বোঝাই যায়। সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসা দিতে হয়।
প্রশ্ন : সেটার জন্য কী চিকিৎসা রয়েছে?
উত্তর : লেজার দিয়ে করা হয় একটি চিকিৎসা। সামান্য কিছু গর্ত থাকলে এটি চলে যায়। সব চিকিৎসা শেষ হয়ে গেলে ত্বকটা সুন্দর হয়ে যায়। এই জাতীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে ধৈর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : ব্রণের চিকিৎসা হওয়ার পর কি আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে? বা ফলোআপের জন্য কি আপনাদের কাছে আবার আসতে বলেন?
উত্তর : আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে দেখা যায় অনেকে অনেক দিন পর আসে। হয়তো কারো আগে মাথায় খুশকি ছিল, সেটা চলে গিয়েছিল, আবার হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আবার ব্রণ হতে পারে।