সিওপিডির চিকিৎসা কেন জরুরি?
শ্বসনতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডি। সাধারণত ধূমপান, পরিবেশ ও জিনগত কিছু কারণে সিওপিডি হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৫৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছ্নে ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সিওপিডি হলে শ্বাসকষ্ট হয়। তো, শ্বাসকষ্ট হলে কীভাবে বোঝা যাবে সিওপিডি হচ্ছে?
উত্তর : এটা আলাদা করা অবশ্যই জরুরি। কারণ, এর চিকিৎসাটা ভিন্ন ধরনের। জীবনযাত্রার যে পরিবর্তন, সেটিও ভিন্ন ধরনের। অ্যাজমা যেকোনো বয়সে হতে পারে। বাচ্চাদের হতে পারে। বয়স্কদের হতে পারে। অ্যাজমা রোগীদের বংশগত ইতিহাস থাকে অ্যাজমা হওয়ার। অ্যাজমা হলে শ্বাসকষ্ট থাকে, আবার ভালো হয়। সিওপিডি রোগীদের একবার হলে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। সিওপিডি রোগীরা ধূমপানের সঙ্গে শক্তভাবে জড়িত। অ্যাজমা যাদের আছে, তাদের অ্যালার্জির একটি ইতিহাস থাকে। অ্যালার্জিজনিত কিছু হলে অ্যালার্জি অ্যাটাক হয়। তবে সিওপিডিতে এ সমস্যা থাকে না।
অ্যাজমা ভালো চিকিৎসা হলে অনেকটাই নিরাময়ের মতো হয়ে যায়। কিন্তু সিওপিডির ক্ষেত্রে সিগারেট বন্ধ না করলে একেবারে খারাপের দিকে চলে যাবে।
প্রশ্ন : আপনারা বলছিলেন, চিকিৎসা করে ফুসফুসকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাহলে চিকিৎসা করে লাভ কী?
উত্তর : লাভ অবশ্যই আছে। কারণ, চিকিৎসাকে আমরা দুটো ভাগে ভাগ করে ফেলি। প্রথমে তার রোগের অবস্থা বুঝে তিনি কোন গ্রেডে আছেন, সেটি নির্ণয় করে ফেলি। নেওয়ার পর বলে দেওয়া হয়, সিগারেট বন্ধ না করলে ফুসফুস অকার্যকরতা বাড়বে। তাই সিগারেট বন্ধ করতে হবে। এটি প্রথমে বলতে হবে। তার কষ্টটা কমিয়ে দেওয়া বড় কাজ। সিওপিডি যাদের থাকে, তাদের কিন্তু প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। হাঁটতে পারে না। হাঁপিয়ে পড়ে। তাদের শ্বাসকষ্ট কমিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু চিকিৎসা দিয়ে থাকি। রোগীর কষ্ট কমিয়ে দেবে। এটা পরিপূর্ণ নিরাময় না হলেও সে ভালো থাকবে, সুস্থ জীবনযাপন করবে।
এদের ফুসফুসের সংক্রমণ দ্রুত হয়। তাই সিগারেট না খাওয়া, চিকিৎসা নেওয়া এবং ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। যাতে নিউমোনিয়া না হয়।