ইসকেমিক হার্টের রোগ প্রতিরোধে কী করবেন?

একটু সচেতন হলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৮৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী।
প্রশ্ন : প্রতিরোধের জন্য কোন কোন বিষয়ের দিকে বেশি জোর দেওয়া উচিত?
উত্তর : প্রতিরোধের জন্য যে জিনিসগুলো দরকার, সেটি হলো ধূমপান। ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই তাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ যদি বেশি থাকে, যেমন সম্পূর্ণ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বলি ১৫০-এর নিচে থাকতে হবে।
এসডিএল চল্লিশের ওপর নিয়ে আসতে হবে। এরপর এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল যেটা একে সত্তরের নিচে নিয়ে আসতে হবে। ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০-এর নিচে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর সঙ্গে ওজন বেশি থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তার শারীরিক পরিশ্রম দরকার। ৩০ মিনিট করে নিয়মিত সে হাঁটবে। মানসিক চাপ তাকে অবশ্যই কমাতে হবে। মানসিক চাপ খুব বড় কারণ। মানসিক চাপ তাকে অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে।
প্রশ্ন :এই সময় তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর আশপাশের লোকেরা কী করবেন?
উত্তর : যদি বোঝা যায় তার হার্টেরই ব্যথা, সেই ক্ষেত্রে এসপিরিন জাতীয় কোনো ওষুধ যদি আশপাশে থাকে, তাহলে খাইয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি রোগীকে পার্শ্ববর্তী কোনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, যেখানে হার্টের চিকিৎসা সব সময় পাওয়া যায়। একটা ইসিজি করতে হবে। যদি হার্ট অ্যাটাক হয়েই যায়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সিসিইউ কেয়ারে নিয়ে আসতে হবে। বুকের ব্যথা কমাতে হবে। তাকে অক্সিজেন দিতে হবে। তাকে বিশ্রামে রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করা যায় এ বিষয়ে।