শিশুর চোখে আঘাত রোধে করণীয়
অনেক সময় শিশুরা খেলতে গিয়ে বা কোনো কাজের সময় অসতর্কতাবশত ধারালো কিছুর মাধ্যমে চোখে আঘাত পেয়ে যায়। এটি প্রতিরোধে কী করণীয়? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৮৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শারফুদ্দিন আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং কমিউনিটি ও অপথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : আমরা অনেক সময় দেখি শিশুদের অনেক সময় সূক্ষ্ম যন্ত্রের আঘাতে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে?
উত্তর : বিদেশে আমরা যখন গিয়েছি, তখন দেখেছি দুই বছরের বাচ্চার কী খেলনা। চার বছরের বাচ্চার কী খেলনা। এগুলো কিন্তু লেখা আছে। আমাদের দেশে কিন্তু এগুলো মানা হয় না। বাচ্চারা যেকোনো ধরনের খেলনা হাতে নেয়। খেলনা ভেঙে চোখে গিয়ে ঢুকতে পারে। পেনসিল দিয়ে যেকোনো সময় চোখে আঘাত লাগতে পারে। কলমের নিব গিয়ে লাগতে পারে। বাচ্চাদের সামনে এসব জিনিস না রাখাই উচিত। বাচ্চাদের দেখবেন মুখে যেমন হাত দেয়, চোখেও হাত দেয়। যে কোনো আঘাতের কারণে কর্নিয়াল আলসার হতে পারে। কর্নিয়াল আলসার দূর করতে পরিবারের যারা অভিভাবক, তারা বাচ্চাদের সতর্ক রাখবে। নিজেরা সতর্ক হবে, ধুলা ও ময়লা পানি ব্যবহার থেকে দূরে থাকলে দেখবেন এগুলো অনেক কমে গেছে। চোখ পরিষ্কারের পানিও পরিষ্কার থাকতে হবে। হাঁস যে পুকুরে চরে, হাঁসের বিষ্ঠা পুকুরে পড়ে, এই পানি ব্যবহার করলেও কিন্তু কর্নিয়ায় ঘা হতে পারে। আসলে পুরোটাই নির্ভর করছে নিজের সচেতনতার ওপর।
কর্নিয়া হলো ঘড়ির কাচের মতো। এই কাচ অস্বচ্ছ হলে ভেতরে কিছু দেখা যায় না। তাই কর্নিয়াল আলসার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।