যে ৬ পানীয় শরীরকে ডিহাইড্রেট করে

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

তৃষ্ণার্ত বা ডিহাইড্রেটেড বোধ করলে আমরা পানি পান করি। এই গরমে অনেক সময় আমরা ঠাণ্ডা পানীয় বা জুস পান করে থাকি। কিন্তু সব ধরণের পানীয় হাইড্রেশন অবস্থা বজায় রাখতে পারে না। কিছু জনপ্রিয় পানীয় রয়েছে যা, হাইড্রেশনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে এই গরমে।

কফি

কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি থাকে। যার কারণে এটি সবচেয়ে ডিহাইড্রেটিং পানীয়গুলোর মধ্যে একটি। যাইহোক, এক বা দুই কাপ কফি আপনাকে সম্পূর্ণভাবে পানিশূন্য করবে না। গবেষণা থেকে জানা গেছে, যদি আপনি প্রতিদিন পাঁচ কাপ কফি পান করেন তবে গুরুতর হাইড্রেশনের প্রভাব অনুভব করবেন।

চা

চায়ে কফির চেয়ে কম ক্যাফেইন থাকে।  তবে দিনে অনেক কাপ চা পান করলে  এটি আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন প্রস্রাবের মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং পানি বের করে দিতে পারে। বিশেষ করে যদি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। তাই চা খাওয়া সীমিত করুন।

কার্বনেটেড পানীয়

একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ঠাণ্ডা কার্বনেটেড পানীয় হাইড্রেশন সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়। এ সব পানীয় আমাদের তৃষ্ণা মিটায় কারণে আমরা তৃপ্তি পাই। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যাফেইন থাকায় এগুলো আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট রাখে।

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল গ্রহণ করলে আপনি পানিশূন্য হয়ে যাবেন। যার ফলে মাথা ব্যথা, শুষ্ক ত্বকের লক্ষণ দেখা দেবে। এ সব পানীয় থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল

স্মুদি

উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ স্মুদি পান করা থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টি, স্বাদযুক্ত দই ,জুস, চিনি  থাকায় এগুলো ডিহাইড্রেটিং প্রভাব তৈরি করবে।

জুস

বেশি চিনিযুক্ত জুস শরীরকে হাইড্রেশন করার পরিবর্তে ডিহাইড্রেটেড করে দেবে। যেমন- বিট জুস বেশি পরিমাণে পান করলে শরীর থেকে পানি কমে যাবে। আবার চিনি যোগ করার কারণে লেমনেড হাইড্রেটিং শক্তিও হারাবে। তাই এ সব জুস পান করা এড়িয়ে চলুন।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া