ডেঙ্গুজ্বরে যেসব খাবার খাওয়া উচিত

Looks like you've blocked notifications!

দেশে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা কি খাবে, সেটা নিয়ে চিন্তার কোনো শেষ নেই। তাই আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেঙ্গুজ্বর হলে কী কী খাবার খাওয়া উচিত, সেই সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ডেঙ্গুজ্বর হলে কী কী খাবার খাওয়া উচিত, এই সম্পর্কে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হসপিটালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।

আগে ডেঙ্গু হয়ে দীর্ঘ সময় নিত। এখন খুব অল্প সময়ে রোগীরা খুব খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। এর পেছনের কারণ এবং এটিকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, প্লাজমা লিকেজটি খুব র‌্যাপিড হয়ে যায়। এখনকার ভ্যারিয়েন্টে যেটা হয়, সেটা হচ্ছে প্লাজমা লিকেজ বা ডেঙ্গুর শকড–এর লক্ষণটা খুব র‌্যাপিডলি ডেভেলপ করে। ডেঙ্গুর শকড লক্ষণ হওয়ার কারণে রোগী শকে চলে যায়। এ ছাড়া রোগীর প্রেসার কমে যায়। রোগীর বিভিন্ন অর্গান এর সঙ্গে জড়িত হয়ে যায়। সে কারণে রোগী দ্রুত খারাপের দিকে যায়। 

এটিকে প্রতিরোধ করার উপায় কি, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, প্রথম থেকে রোগীকে খুব সাবধান হতে হবে। রোগীকে মনিটরিং করতে হবে। বিশেষ করে তার পালস, ব্লাড প্রেসার তাপমাত্রা এবং তার প্লাজমা লিকেজ হচ্ছে কিনা। অর্থাৎ তার প্রেসারটা স্বাভাবিক রয়েছে কিনা। ফুসফুসে পানি জমছে কিনা, এজন্য এক্সরে করে দেখতে হবে। পেটে পানি আসছে কিনা এবং রোগী পর্যাপ্ত খাবার খাচ্ছে কিনা। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে কোনোভাবে রোগীর প্রেসার ত্রুটিপূর্ণ না হয়। রোগীর গড় ধমনী চাপ (Mean Arterial Pressure) যেন ঠিক থাকে। তাহলে তার অর্গানগুলো ঠিক থাকবে। রোগীর অত্যাবশ্যক সব অর্গান স্বাভাবিক রাখতে হবে। রোগীর পর্যাপ্ত ফ্লুইড ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। রোগীকে অবশ্যই ফ্লুইডটা যথাসময়ে দিতে হবে। 

বিভিন্ন ধরনের পায়খানাজনিত সমস্যায়, বিশেষ করে ডায়রিয়া কিংবা আমাশয় এই ধরনের অসুখ হলে, বেশি বেশি পানি পান করতে বলা হয়, যেন রোগীরা পানিশূন্যতায় না ভোগে। কিন্তু ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও পানির গুরুত্ব অত্যাধিক। অনেকে জ্বরজনিত কারণে অ্যানোরেক্সিয়াতে ভোগে থাকেন, তাদের খাদ্যাভাস কি ধরনের হওয়া উচিত, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, রোগীকে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাবে। জ্বর আসার পরে প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৪ লিটার পানি খাবে। আর ফ্লুইড কতটুকু লাগবে সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে। অতিরিক্ত ফ্লুইড দেওয়া যাবে না। কারণ ফ্লুইড ওভারলোড হলে রোগীর অবস্থা খারাপ হবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লুইড নিতে হবে।