মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে পারে আট খাবার

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- পিন্টারেস্ট

মশা ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের বাহক। বর্তমানে, হাসপাতালগুলোতে রোগীরা জায়গা পাচ্ছে না। প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। এ সময় পোকামাকড় নিরোধক এবং মশারি ব্যবহার করা অপরিহার্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যের প্রতিও মনোযোগ দেওয়া উচিত। পুষ্টিকর খাবার এই অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ সব খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। অসুস্থতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।

ভিটামিন সি

পুষ্টিবিদ নুপুর পাটিল বলেছেন, ‘ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ ভাল ফলাফল দেয়। সাইট্রাস ফল, যেমন- কমলা, লেবু, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, কিউই ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস। এগুলোতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে’।

জিঙ্কযুক্ত খাবার

জিঙ্ক শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চর্বিহীন মাংস, মুরগি, শিম, বাদাম এবং বীজের মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই খনিজটি ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে। যা শরীরকে মশা-বাহিত রোগজীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, ম্যাকেরেল, সার্ডিন), ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ইমিউন কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেরি বা আঙ্গুর জাতীয় ফল থেকে পাওয়া যায়। আবার, শাকসবজি থেকেও পাওয়া যায়। যেমন- পালংশাক, ব্রোকলি। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শরীরের ইমিউন কোষগুলোর উন্নতি করে। মশা থেকে সংক্রামিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রসুন এবং হলুদ

নুপুর পাটিল  জানিয়েছেন, ‘রসুন এবং হলুদ প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার। রসুনে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  হলুদে কারকিউমিন, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। খাবারে এই মশলাগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো মশা-বাহিত অসুস্থতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে’।

হাইড্রেশন

সর্বোত্তম ইমিউন ফাংশন বজায় রাখার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অপরিহার্য। কলা, নারিকেল পানি এবং দই খান। এগুলো ইলেক্ট্রোলাইট পূরণের সহায়তা করবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি ইমিউন সিস্টেমের ভাল রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সূর্যের আলো থেকে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি, ফ্যাটি মাছ, সুরক্ষিত দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডিমের কুসুম থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

বি ভিটামিন

নুপুর পাটিলের মতে, ‘বি ভিটামিন, বি৬, বি৯ (ফোলেট) এবং বি১২ সহ, ইমিউন কোষের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। শস্য, শাক, মটরশুটি এবং চর্বিহীন মাংস থেকে এই পুষ্টি পাওয়া যাবে’।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া