খাওয়ার পর যে পাঁচ কাজ করবেন না
খাদ্যাভাস আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময় মত খাবার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। বিশেষ করে, যারা অন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন তারা খাবারের পরের রুটিন নিয়ে সতর্ক থাকুন। এমন কোনো কাজ করবেন না যা হজম প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। কেউ কেউ দুপুরে খাবার পরেই ঘুমিয়ে যান। আবার ভারী নাস্তা করে জিমে যান। এ সব বদঅভ্যাস হজমের সমস্যাগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা, খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে কয়েক ধাপ হাঁটার পরামর্শ দেবেন। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। গবেষণা অনুসারে, ৩০ মিনিট হাঁটলে গ্লাইসেমিক প্রতিক্রিয়া উন্নত হয়।
পুষ্টিবিদ ভক্তি অরোরা কাপুর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘খাবারের পরে আপনি কী করেন সেদিকে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আপনার হজম এবং সামগ্রিক সুস্থতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তবে খাওয়ার পরে কিছু জিনিস করা থেকে এড়িয়ে চলুন’। কাপুর খাওয়ার পরে পাঁচটি ক্ষতিকারক অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। এ সব অভ্যাস আপনার হজমশক্তিকে দুর্বল করতে পারে।
ঘুমিয়ে পড়া
অনেকেই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরার অভ্যাস খুবই খারাপ। এর ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বদহজম হতে পারে। এর পরিবর্তে, কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এতে আপনার খাবার দ্রুত হজম হবে। ঘুমও ভাল হবে।
জিম
খাওয়ার পরেই জিমে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটায়। আপনার ব্যায়াম করতে কষ্ট হবে। তাই আগে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এরপর জিমে যোগদান করুন।
চা বা কফি পান করা
চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে। এগুলো আয়রন শোষণ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। শরীরে খনিজের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। খাবারের পরে পান করার অভ্যাস থাকলে গরম পানি বা ভেষজ চা বেছে নিন।
ধূমপান
খাওয়া শেষ হলে কিছু মানুষ ধূমপান কয়রা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এটি কেবল আপনার ফুসফুসের ক্ষতিই করে না। বরং হজম প্রক্রিয়াতেও সমস্যা করে। মোট কথা, খাওয়ার পরে ধূমপান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিগুণ ক্ষতিকর।
ফল খাওয়া
ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে দুপুর বা রাতের খাবারের পরই ফল খেতে যাবেন না। এতে পেট ফোলাভাব অনুভব হতে পারে। এক ধরনের অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, আপেল খাওয়ার আগে একটু ভেবে দেখুন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস