শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ করবে তিন যোগব্যায়াম

Looks like you've blocked notifications!

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কখনও প্রচন্ড গরম আবার কখনও প্রচন্ড শীত আবার কখনও অঝোর ধারায় বৃষ্টি। রোদের তেজ তেমন না থাকলেও একটা ভ্যাপসা আবহাওয়া ইদানিং বেশি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের এমন বৈরি আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। বর্তমানে সর্দি-কাশি বা ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকেই শুধু শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে না বরং ভ্যাপসা আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থেকেও শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলেন, এমন অনুভূতি যে সব সময় ব্রঙ্কাইটিস  থাকলেই হতে হবে বিষয়টি এমন নয়। অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা কারণেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা যদি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এমন পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়  সেজন্য নিয়মিত কয়েকটি যোগাসন অভ্যাস করতে পারেন যা আপনাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা  করবে।

১.সুখাসন

ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার ডান পা হাটু থেকে ভাজ করে বা উরুর উপর এবং বাম পা হাটু থেকে ভাজ করে ডান উরুর উপর রাখুন। এরপর দুই হাটুর উপর দু’হাত টান টান করে রাখুন। এমন অবস্থায় দুই চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিক ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। দুই থেকে তিন মিনিট পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন এই যোগ ব্যায়মটি অভ্যাস করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

২.ভুজাঙ্গাসন

ম্যাটে উপর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালুর মেঝের উপর ভর দিয়ে পাজরের দুই পাশে রাখুন। এরপর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এরপর সাপের মতো মাথা বেকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই অবস্থায় বিশ-ত্রিশ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন দুই থেকে তিন বার করুন । অভ্যাস হয়ে গেলে ছয়-সাত বারও করতে পারেন।

৩.শবাসন

ইচ্ছেমতো শুয়ে পড়লেই শবাসন করা যায় না। এই আসনটি করতে হলে প্রথমে পিঠের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর হাত দুটি দেহের দু’পাশে রেখে পা দুটো মেঝের সাথে সমান্তরাল ভাবে টান টান করে রাখতে হবে। মাটিতে রাখা দু’টি হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে । স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে। এই যোগাসনটি করতে খুব কষ্ট করতে হবে না তাই চাইলে বেশি সময় ধরে এ্টি অভ্যাস করতে পারেন।