কখন হাঁটলে পেটের মেদ ঝরবে? জেনে নিন সত্যিটা

Looks like you've blocked notifications!

স্থূলতা বর্তমানের খুব প্রচলিত একটি বিষয়। বর্তমান জীবনধারা অনেক মানুষ স্বাভাবিকের তুলনায় একটু মোটা হয়ে থাকেন। কারো একটু পেটে মেদ বেড়ে যায়। এতে তাঁর চলাফেরার সমস্যা হয়। ফলে কাজের ব্যাঘাত ঘটে। আর এই স্থূলতার কারণে ডায়াবেটিস, হার্টের মতো অনেক মারাত্মক রোগ পর্যায়ক্রমে অতি দৃঢ় বন্ধন বেঁধে ফেলে জীবন। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে দ্রুত ওজন কমানো গুরুত্বপূর্ণ। আর ওজন কমানোর জন্য হাঁটা সবেচেয়ে ভালো।

বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের শিকার। স্থূলতা নিজেই একটি রোগ যার কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ওজন কমানোর জন্য মানুষ অনেক ধরনের প্রতিকার গ্রহণ করে। কিছু লোক জিমে ঘাম ঝরান আবার কিছু মানুষ উপোষ করে রোগা হওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু বাস্তবে হাঁটা এবং দৌড়ানো ওজন কমানোর সেরা উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ওজন কমাতে কোন সময়ে হাঁটা বেশি উপকারী হবে তা নিয়ে প্রায়ই বিভ্রান্তি থাকে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ বিষয়ে রহস্য উন্মোচন করে দিয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, খাবার খাওয়ার পর হাঁটা সবসময় বেশি উপকারী। এর সঙ্গে এটাও জানা জরুরি যে প্রতিদিন কতক্ষণ এবং কোন গতিতে হাঁটা পেটের মেদ কমাতে সর্বাধিক কার্যকরী। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮- এমন খবর জানিয়েছে।  চলুন জেনে নিন হাঁটার বিশেষ কিছু নিয়ম।

সঠিক সময়ে হাঁটা

দিনের যেকোনো সময় হাঁটাই যে উপকারী হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। কিন্তু গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা ওজন কমাতে চান বা যাঁরা ডায়াবেটিক তাঁদের জন্য খাবার খাওয়ার পর হাঁটার বাড়তি সুবিধা রয়েছে।

যাদের শারীরিক কোনো সমস্যা নেই তাঁরা নিয়মিত হেঁটে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের রোগ এড়াতে পারেন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, হেঁটে একদিনে আদৌ কতটুকু ওজন কমানো সম্ভব? এটা নির্ভর করে আপনি দিনে কতটা পরিশ্রম করেন তার উপর।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যত দ্রুত হাঁটব বা দৌড়াব, তত দ্রুত ক্যালরি বার্ন হবে এবং আমাদের চর্বির ওপর এর প্রভাব তত বেশি পড়বে। তবে, মনে রাখবেন, শুধুমাত্র ওজন কমানোকেই হাঁটার মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়, কারণ এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

প্রতিদিন হাঁটলে মেটাবলিজম বাড়ে। যার ফলে হজম ঠিক থাকে। এটি ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার কোলেস্টেরল ও কমায়।