চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ইআরপিপি আউটসোর্সিং কর্মীদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা

চাকরি স্থায়ীকরণ এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছে ইআরপিপি আউটসোর্সিং কর্মীরা। অজ রোববার (২২ জুন) সকালে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
এর আগে গত কয়েকদিন মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মীরা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, করোনা মহামারির ভয়াল সময়ে দেশজুড়ে ইআরপিপি প্রকল্পে এক হাজার চারজনের বিশাল জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করি আমরা। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমরা।
তারা আরও বলেন, প্রকল্পের কর্মীদের বাদ দেওয়ার জন্য গত ২৫ মে চিঠি দেওয়া হয়। যদিও প্রকল্প তহবিলে এখনও এক হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অভিজ্ঞ জনবলকে বাদ দিয়ে শূন্য পদে নতুন নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তৎপর হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সরকার বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের পদগুলো বিলুপ্ত করছে না। বরং আমাদের হাতে গড়া আরটি পিসিআর ল্যাব কিংবা কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ পরিচালনার জন্য আমাদের বাদ দিয়ে নতুন লোক নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে। আমাদের পদেই নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট ও জেলা সদর হাসপাতালের লোকবলের চাহিদা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেসিয়া/ক্রিটিক্যাল কেয়ার) ১৬ জন, মেডিকেল অফিসার (আইসিইউ) ৮০, ল্যাব কনসালট্যান্ট ৩০, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৫০, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ১২৬, ডাটা অপারেটর ১৯০, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট ৫১, ওয়ার্ড বয় ১০৪, আয়া ১০৩ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১৫১ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৫৯ জন রাজধানীতে, ১৫৩ জন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে এবং ৫৯২ জন জেলা শহরে কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় কর্মরত ছিলেন।